₩℮ℓ¢☻₥℮ Ŧ◙ ღẙ Ħє†† ☠
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে তুলনা করার অপরাধে নিজামীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে ওলামা মাশায়েখ সংহতি পরিষদ। দলীয় আমিরের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর পর এখন এই কাজকে ইসলামবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জামায়াত। এর আগে দেশে অসংখ্যবার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও জামায়াত কখনো একে ইসলামবিরোধী বলেনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বড় মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এই ব্যাখ্যা দেন ।
ইরাকযুদ্ধের পর অনেক ইসলামপন্থী দল বুশের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছিল।
তখন তো জামায়াত এ বিষয়ে কিছু বলেনি। এখন নিজামীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানোয় জামায়াত এ ধরনের কথা বলছে কেন? জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘এ দেশের বরেণ্য ওলামা-একরামরা আগে বলার প্রয়োজন বোধ করেনি। এখন ইসলামের নামে যেহেতু এটা করা হচ্ছে, সেহেতু আমরা বলছি। ’
এর আগে তো বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার বিভিন্ন ব্যক্তির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। তখন কেন জামায়াত কিছু বলেনি, জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘ইসলামের নীতিমালা আছে।
যথাসময়ে যথা কথা বলতে হয়। ’
তাহলে কি নিজেরা বাঁচার জন্য এখন জামায়াত এ ধরনের কথা বলছে, জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘দেখুন ইসলামে পর্যায়ক্রমের ব্যাপার আছে। মহানবী (সা.)-ও পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কথা বলেছেন। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের নেতা মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াত কোনো ইসলামি দল না। তারা ইসলামের বিষয়ে কোনো ফতোয়া দেওয়ার অধিকার রাখে না।
তা ছাড়া মুজাহিদ কোনো আলেম নন, তাঁর গুরু মওদুদীও আলেম নন। কাজেই বৈধ ও অবৈধ সম্পর্কে বলার কোনো অধিকার মুজাহিদ রাখেন না। ’ তিনি বলেন, ‘কুশপুত্তলিকা বানানো হয়েছে শয়তান তাড়ানোর জন্য। এটা মূর্তি ছিল না। এটা ঘৃণা প্রকাশের জন্য ছিল।
অপশক্তির বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের সঙ্গে ইসলামে কোনো বিরোধ নেই। ’
সূত্র: প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।