পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে আমার ছোট আপা (পিঠাপিঠি বোন ) নাসিমা । ডাক্তার আমাকে একটা প্রেসক্রিপশন দিয়ে বললেন ,ইনজেকশন গুলি আনুন । আমি এক দৌঁড়ে ইনজেকশন নিয়ে এসে দেখি ছোট আপাকে ডাক্তার বুকে পাম্প করছে , তারপর সাদা চাঁদরে ঢেকে দিল তার নিথর শরীর । আমার পাশে অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন আম্মা ।
ডাক্তার আমাকে বললেন, আপনি ভেংগে পড়বেন না । হাসপাতালের অনেক ফর্মালিটি আপনাকে মেইনটেইন করতে হবে নতুবা বডি নিতে পারবেন না ।
আমি রোবট হয়ে গেলাম । ফর্মালিটি মেইনটেইন করে মাইক্রো দিয়ে বডি বাসায় আনলাম । তারপর গোসল করানোর ব্যবস্থা, মসজিদে জানাজার ব্যবস্থা, আত্মীয় স্বজনদের খবর দেয়া , গোরস্থানে নেয়ার জন্য ট্রাক ভাড়া করা , আজিমপুর গোরস্থানে দাফন পর্যন্ত সব দায়িত্বই পালন করেছি সুচারুভাবে ।
সত্যি বলছি ,আমি একটুও কাঁদিনি , কাঁদতে পারিনি ।
আজ আমার ছোট আপা ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী । মৃত্যুকালে বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর ।
২। আমার ডান পাশে শুয়ে ছিল আমার সবচেয়ে ছোট বোন জেবুননেছা জোনাকি (সীমা) ।
সকালে আবিস্কার করলাম তার নরম শরীর শক্ত হয়ে আছে , মেঝেতে মা আহাজারি করছে , আব্বা নিস্তব্ধ ।
আগামীকাল ওর ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী । মৃত্যুকালে বয়স ছিল মাত্র এগার মাস ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।