সম্মান জানাই তাকে আমার বিরুধ্যে সত্য বলে যে
ক্বোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী একাধিক জায়গায় উল্লেখ আছে এই জিবন একটা পরিক্ষা । পরিক্ষাস্হলে উত্তর প্রকাশ করা হয়না।
যদি গরুর গোস্ত ,চাঁদ, মক্কার ঐজ্ঝল্য,জংগলের ঝাড় , সেলিব্রিটির ইসলাম গ্রহণ, কুকুরের আল্লাহু উচ্চারন মত ব্যাপারের প্রয়জন পরে ইসলামের সত্যতা প্রমাণ করতে তা হলে
#১
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ২৩ বছর কস্ট কেন করলেন? উনি চাইলে তো দোয়া করতে পারতেন এবং আল্লাহ অবশ্যই উনার দোয়া কবুল করতেন যে মক্কার সকল পাহাড় দিনে পাঁচ বার আযান দিত । আর এরকম হইলে তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৯৯% ভাগ মানুষ মুসলমান থাকত।
#২
প্রতি পুর্ণিমা তে চাঁদে স্পস্ট আল্লাহু লেখা দেখা যাইত।
#৩
এই রকম প্রমাণ বা অলৌকিকতা নির্ভর ইমানের পরিণাম কি ? তাও ক্বোরানে উল্লেখ আছে। বনি ইসরাইল যখন দেখল গাভির মুর্তি শব্দ করছে তখন তারা গাভীর পূজা শুরু করল । কারণ এটা অলৌকিক ছিল।
হিন্দু ধর্মের মূল হচ্ছে অলৌকিকতা ।
যে কোন অলৌকিক বস্তু ভগবান বা ভগবানের প্রতিনিধি।
আজো অলৌকিক যে কোন কিছুর পূজা হয়ে থাকে।
তা হলে ইসলাম আর হিন্দু ধর্মের কোন পার্থক্য কি রইল ?
#৪
দৃশ্য বা দৃশ্যের প্রমান দৃশ্য বলে গন্য হয়।
যেমন কেও যদি সকাল ১১ টায় বা দুপুর তিন টায় বলে দেখ তো রোদ উঠছে নাকি? অন্ধও জানে সকাল ৭ টায় সুর্য উঠবেই যতই মেঘ বা কুয়াশা থাকুক।
প্রশ্নের মর্মার্থ হল দেখ সুর্য দেখা যায় নাকি? যাকে প্রশ্ন করা হল সে চাইলে আকাশের দিকে তাকিয়ে সুর্য দেখে উত্তর দিতে পারে বা খালি রোদ ( সুর্যের প্রমান) দেখেও বলতে পারে।
এখানে রোদ, সুর্যের প্রমান দ্বারা সুর্য দৃশ্য গন্য হবে ।
এখন প্রশ্ন হলো দৃশ্য বস্তু কে কি বিশ্বাস করার অবকাশ আছে?
বিশ্বাস শুধু সে খানেই প্রযোজ্য যার অস্তিত্ব বা প্রমান অদৃশ্য।
যাকে বলে ঈমান বিল গায়েব।
একই সাথে একই সময়ে একই বস্তু দৃশ্য এবং বিশ্বাস্য্ হতে পারে না।
#৫
এমন অনেক কিছুই আছে যা আল্লার নিদর্শন ।
তবে বুঝতে হবে কি রকম নিদর্শন ? এটা কি আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান? নাকি আল্লার কুদরত (ক্ষমতার) নিদর্শন ?
অনেক প্রমান বা নিদর্শন ইসলামে আছে ।
কোথাও আল্লাহ বা তার নবী রা কখনো আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ দেন নাই ।
আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান থাকলে বিশ্বাসীর বিশ্বাস বা ঈমানের মুল্য রইল কি?
প্রমান বা যুক্তি আছে আল্লাহর একত্ব বাদের, আছে আল্লার ক্ষমতা বা কুদরতের , আছে দয়ার প্রমান , আছে শাস্তির প্রমান ।
#৬
সর্বপোরি হাদিসে বর্নীত আছে দাজ্জালের সময় দাজ্জাল প্রমান দিবে আল্লাহ বলতে কেও নাই । যারা দাজ্জালের উপর ঈমান আনবে তারা
দাজ্জালের প্রমানের উপরেই ঈমান আনবে এবং যারা দাজ্জালের উপরে ঈমান আনবে না তারা প্রমান কে অস্বিকার করে প্রমান ছাড়াই আল্লাহর উপর ঈমান রাখবে।
সারমর্ম হল ।
ঈমানের সম্পর্ক বিশ্বাসে , যুক্তি বা প্রমানে নয়।
প্রমান হল যুক্তি বা মনের দৃশ্টি শক্তি ।
প্রমানীত ও দৃশ্য বস্তুর সাথে ঈমান বা বিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নাই ।
বিশ্বাস শুধু মাত্র অদৃস্টের সাথে সম্পৃক্ত।
একই সাথে একই সময়ে একই বস্তু দৃশ্য এবং বিশ্বাস্য্ হতে পারে না।
যে কোন প্রমান বা নিদর্শনের প্রতি নির্ভরতা আসলে দুর্বল ঈমান এবং ইসলাম কে ছোট করার নামান্তর
বিঃ দ্রঃ দয়া করে আল্লাহর অস্তিত্ব এবং ধর্মীয় আনুশাসন পালন কে এক করে ফেলবেন না।
যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব সকল যুক্তি তর্ক বা প্রমানের উর্ধে আবার ধর্মীয় আনুশাসন তার সম্পূর্ণ বিপরিত ।
ধর্মীয় আনুশাসনের ক্ষেত্রে ইসলামে অযৌক্তিক কোন এবাদত বা আমলের স্থান নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।