এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাঈনুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে মুফতি জসীমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান।
অন্যদিকে আনসারুল্লাহ নেতার পক্ষে রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চান জসীমের আইনজীবী মো. সোহরাব হোসেন মোল্লা আরিফ।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম হারুন অর রশিদ সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
গত ১২ অগাস্ট বরগুনার দক্ষিণ খাজুরতলা এলাকায় গোপন বৈঠক করার সময় মুফতি জসীমসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
পরদিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে জসীমের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, বেশকিছু বই এবং অর্ধ শতাধিক সিডি উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, জসীমের অফিসে তারা ১২ জনের ছবিসহ একটি তালিকা পেয়েছেন, যাতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিহত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার এবং হত্যাচেষ্টার শিকার ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনর নামও রয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও স্থপতি আহমেদ রাজীব হায়দরাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, যিনি ইন্টারনেটে লেখালেখির মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের মুখোশ উন্মোচনে সক্রিয় ছিলেন।
ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী গত মার্চে আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে হত্যার প্ররোচনাদাতা হিসাবে মুফতি জসীমের নাম উঠে আসে বলে রিমান্ডের আবেদনে উল্লেখ করেন পরিদর্শক মাঈনুল ইসলাম।
জসীমকে গ্রেপ্তারের পরপরই পল্লবী থানায় ব্লগার রাজিব হায়দার হত্যা মামলা ও উত্তরা পশ্চিম থানায় ব্লগার আসিফ হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘জিহাদের’ মাধ্যমে সরকারকে হঠানোর লক্ষ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা জসীমের নেতৃত্বে থানা থেকে অস্ত্র লুট, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা এবং ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।