নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।
মুফতি ইজাহারের আস্তানা আমার বাড়ি তেকে পায়ে হাটা আধ ঘন্টার পথ মাত্র। সেই কিশোর বয়স থেকেই তার আস্তানা ঘিরে নানা ধরণের কথাবার্তা শুনে আসছি। শুনে আসছি, এখানে ধর্মীয় শিক্ষার নামে চলে আসছে জঙ্গী প্রশীক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণের নিবিড় স্থান হচ্ছে পাশের জিলাপি পাহাড় ট্যাঙ্কি পাহাড় নামক স্থানে।
দেশে ধীরে ধীরে একটা ভয়ঙ্কর বিষবিক্ষ বেড়ে উঠছে কেউ যেন দেখার নেই! দেকবেওবা কারা? যাদের দেকার কথা তারাইতো ইজাহারদের গড ফাদার। দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ। অথচ একবার চিন্তা করে দেখেনতো সেই মহান ৬৬ ছয়দফা বলুন ৬৯গণঅভ্যুত্থান বলুন, ৭১মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা বলুন কিংবা দেশ দেশ স্বাধীন হবার পর স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলন বলুন আর সম্পদ রক্ষার আন্দোলন বলুন কখনো কি এই হুজুর ও তার ছাত্রদের কাছে পেয়েছে জাতি? না পায়নি, এবং ভবিষ্যতেও পাবে না। তারা ইসলাম রক্ষার নামে মানুষ খুন করবে, গণিমতের মাল বলে নারী ধর্ষণ করবে আর মূল জাতিসত্ত্বার বিরুদ্ধে দাড়িয়েঁ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। কিন্তু একবার চিন্তাকরে দেখুন, যেসব হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে, কোরবান ঈদে চামড়ার টাকা, রোজার মাসে জাকাত ঈদে ফিতরা কিংবা বছরের এইমাথা আর ওমাথাতে দু’বার দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে এই মাদ্রাসাগুলো চালায়।
তাদের কথা কি কখনো শাসক শ্রেণী ভেবে দেখেছে। আজ থেকে আড়াই বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজান গহিণ অরণ্য থেকে জঙ্গী প্রশিক্ষণের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তদন্তে বেরিয়ে এসেছিল এই প্রশিক্ষণের নির্দেশদাতা মুফতি ইজাহার। অথচ আজ আড়াই বছর ধরে সেই মামলার প্রকৃয়া থমকে আছে। পিপি বলছেন সাক্ষীর অভাবে। অথচ সাক্ষীরা প্রায় সকলেই বিজিপি আর রেব সদস্য।
তদুপি বিচার থমকে আছে কেন? মনে রাখতে হবে এরা শাসকদের কাছে জঙ্গী নয় জীয়ল মাছ। বিএনপি ওদের অস্ত্র হিসেবে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করেছে আবার সময় মতো আওয়ামীলীগ করবে বিএনপির বিরুদ্ধে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।