প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের সমালোচনা অনেকেই করেছেন। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বের প্রতি এ রকম অনাস্থা কেউ প্রকাশ করেনি, যেমনটি করলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার অন্যতম জ্যেষ্ঠ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী। কিন্তু পাট ও বস্ত্র নিয়ে কথা কমই বলেন। জাতিকে রাজনীতি ও আইনের আজগুবি পাঠ শেখান।
এই না হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মন্ত্রী!
সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা: বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে মন্তব্য করেছেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। তিনি (আবদুল লতিফ সিদ্দিকী) যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে এত দিন তাঁকে (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) কারাগারে থাকতে হতো। তিনি এও বলেছেন যে ইউনূসের ভাগ্য ভালো যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেননি। (প্রথম আলো, ২৬ আগস্ট ২০১৩)।
পাটমন্ত্রীর এই বক্তব্যে যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে কথা বলে রাষ্ট্রদ্রোহের কাজ করেছেন।
অতএব, কারাগারই তাঁর উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে কারাগারে না রেখে একজন রাষ্ট্রদ্রোহীর সঙ্গে আপস করেছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।