কিচ কিচ কুচ কুচ কাচ কাচ কোচ কোচ!!! (আমাদের আজকের অদ্ভুত গল্পটির শুরু নিজের বাসার দ্বিতীয় তলায় চেম্বারে বসা সাইকিয়াট্রিস্ট রাশেদ হায়দার ও কুচিন্তাগ্রস্থ মানসিক রোগী জন মেইকনকে নিয়ে। কথোপকথনের শুরু থেকেই চেম্বারে আইপিএস চলছে, কারেন্ট নেই অনেকক্ষণ। )
জনঃ স্যার, আমি একটা অদ্ভুত সমস্যায় ভুগছি।
রাশেদ হায়দারঃ কি সমস্যা?
স্যার, আমার মধ্যে মাঝে মাঝে... কুচিন্তা ভর করে।
কি ভর করে?
কুচিন্তা।
কুচিন্তা ভর করে।
কেমন কুচিন্তা? আরেকটু বুঝিয়ে বলেন।
মানে স্যার, এই তো মাসখানেক আগে আমি একমনে অফিসের কাজ করছি, লাঞ্চ আওয়ার হতে আর আধা ঘণ্টা বাকি। এমন সময় হঠাৎ আমার রুমে ঢুকল আমার সেক্রেটারি নীলা। নীলার পরনে নীল শাড়ি, সে সেজেছেও খুব সুন্দর করে, কারণ সেদিন ছিল তার ম্যারেজ ডে।
হুম। তারপর?
তারপর সে আমার সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলল, তারপর হঠাৎই তার হাজবেন্ডের ফোন এল। নীলা আমায় মিষ্টি করে "এক্সকিউজ মি স্যার" বলে আমার অফিসের ব্যালকনিতে গিয়ে রেলিংএ ভর দিয়ে কথা বলতে শুরু করল।
তারপর?
তারপরই হঠাৎ আমার মাথায় কুচিন্তাটি এল। আমার হঠাৎ করে ইচ্ছা করল, নীলাকে ধাক্কা মেরে রেলিঙের উপর দিয়ে পাঁচতলা থেকে নিচে ফেলে দিই।
কেউ জানবে না।
কেন? এই চিন্তা এল কেন? আপনি কি নীলাকে ভালোবাসেন?
না। এটা সত্যি নীলার প্রতি আমার একটা উইক পয়েন্ট আছে, কিন্তু আপনার আন্ডারে কোন সুন্দরী মেয়ে টানা তিন বছর কাজ করলে আপনারও একটা উইকনেস তৈরি হবে। এটা সেই ধরণেরই একটা ব্যাপার।
হুম।
তারপর আপনি কি করলেন?
অনুমান করুন তো কি করলাম?
মন থেকে চিন্তাটা জোর করে সরিয়ে দিলেন?
হ্যাঁ, দিলাম। কিন্তু অনেক চেষ্টার পর।
কেমন চেষ্টা?
প্রথমে আমি নীলার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম। কাজ হল না। আমার ফাইলগুলোর দিকে মনোযোগ দিলাম।
তাও কাজ হল না। মোবাইলের এপাশে নীলার রিনিঝিন হাসি ক্রমশই অসহ্য হয়ে উঠতে লাগল আমার কাছে। আমি মাথা চেপে ধরলাম। কাজ হল না।
ডেঞ্জারাস তো! তারপর?
আমি উঠে দাঁড়ালাম।
ওয়াশরুমে গিয়ে মাথায় পানি দিলাম। চিন্তাটা গেল না। আমি নিজের হাতে জোরে একটা চিমটি কাটলাম যেন আমার মনোযোগ ব্যথার দিকে চলে আসে। এল না। যে চিন্তাটা আমি জোর করে সরিয়ে ফেলতে চাচ্ছি সেটা ক্রমশই অধিকার করে নিতে লাগল আমার হৃদয় মন।
আমার স্পষ্ট অডিটরি হ্যালুসিনেশন হল, কে যেন আমার কানে কানে বলল, "যা, ওকে ফেলে দে। ফেলে দে যা। "
যাক, অন্তত এটুকু বুঝেছেন যে হ্যালুসিনেশন হয়েছে। গায়েবি আওয়াজ তো আর মনে করেন নি।
হ্যাঁ, আমার তো অনেক ফ্রেন্ড মেডিকেলে পড়ত, এখন ডাক্তার।
ওদের সাথে আমি অনেক আড্ডা দিয়েছি। ওদের কাছ থেকেই হ্যালুসিনেশন ব্যাপারটা জেনেছিলাম।
তারপর? চিন্তাটা থেকে ছাড়া পেলেন কিভাবে?
বিশ মিনিট পরেও যখন চিন্তাটা গেল না, তখন আমি একটা কাজ করলাম। হাই কমোডের মধ্যে মাথাটা ঢুকিয়ে দিলাম।
হোয়াট!
হ্যাঁ।
ওভাবে প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড ছিলাম।
তারপর?
তারপর মাথাটা তুললাম। বেসিনে গিয়ে ঘড়ঘড় করে বমি করে ফেললাম।
চিন্তাটা? চিন্তাটা গেল?
হ্যাঁ। গেল।
আমি অফিসে ঢুকে দেখি লাঞ্চ আওয়ার হয়ে গিয়েছে। নীলা চলে গেছে আগেই। মাঝখানে আমার নষ্ট হয়ে গেল ত্রিশটি মূল্যবান মিনিট।
এমেজিং।
জি স্যার।
একটু বেশি মাত্রায় এমেজিং। এই এমেজিং ঘটনাগুলোই প্রায় প্রতিদিন ঘটছে। আর প্রতিদিনই নিজের মস্তিষ্কউদ্ভুত নানা উদ্ভট কুচিন্তার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে আমার প্রচুর পরিমাণ সময় নষ্ট হচ্ছে। আমি অফিসে বেশ ভালো পোস্টে আছি, আমার পক্ষে প্রতিদিন এত সময় নষ্ট করা বা নিজের সাথে যুদ্ধ করার মত মেন্টাল স্ট্রেস নেয়া সম্ভব নয়।
আচ্ছা নীলার সাথে এই ঘটনাটা দিয়েই কি আপনার এই সমস্যার শুরু?
জি স্যার।
এর পরে আর কি কি কুচিন্তা এসেছে আপনার?
খুবই পেকিউলিয়ার কিছু কুচিন্তা এসেছে, স্যার। কয়েকটা এমনই উদ্ভট যে আপনি বিশ্বাসই করতে চাইবেন না।
কি? শুনি একটু।
এই যেমন, ঐ ঘটনার তিন দিন পরেই ছিল পহেলা ফাল্গুন, নীলা একটা হলুদ শাড়ি পরে অফিসে এসেছিল। আমি জানতাম না পহেলা ফাল্গুন ঐদিন, তাই হলুদ শাড়ি পরা নীলাকে দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
হঠাৎ ওকে দেখেই কেমন দম বন্ধ হয়ে গেল আমার, ও বোধ হয় আমার ফিলিংস আঁচ করতে পারল, মেয়েরা এসব সহজেই বুঝতে পারে আপনি তো জানেনই স্যার, আর ঠিক তখনই আমার মনে হল...
কি মনে হল?
মনে হল একটা দেশলাই ধরিয়ে নীলার শাড়ির এক কোণে আলতো করে ছুঁয়ে দিই। নীলা পুড়ে ছাই হয়ে যাক। কেউ জানবে না।
এই চিন্তাটা থেকে বাঁচলেন কিভাবে?
অনেক কিছু করতে হল স্যার। শেষে নিজের আঙ্গুল নিজেই কামড়ে ধরলাম, কিছুটা মাংস কেটে নেয়ার পর...
কি ভয়ঙ্কর!
জি স্যার ভয়ঙ্কর।
তবে এর পরেরগুলো শুনলে কি বলবেন জানি না।
বলুন তো দেখি।
আমার এক ভাতিজা আছে আট বছর বয়স, শান্ত নাম। শান্তরা একদিন আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে, রাতে শান্ত আমার সাথে ঘুমিয়েছে, গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি শান্ত গভীর ভরসায় আমার উপর পা তুলে ঘুমাচ্ছে। আর তখনই কে যেন আমার কানে কানে বলে উঠল, "সোডোমাইজ হিম।
দিস ইজ দি চান্স অফ এ লাইফটাইম। কেউ জানবে না, কেউ দেখবে না। ডু ইট ইউ ইডিয়ট। " তারপর স্যার আমি...
কি করলেন?
আমি স্যার নিষ্পাপ ছেলেটার নগ্ন পায়ে হাত দিলাম। বিশ্বাস করুন স্যার তখন আমি মানুষ ছিলাম না, পশু হয়ে গিয়েছিলাম।
তারপর?? আপনি কি সত্যিই...
স্যার আমি ছেলেটার প্যান্ট ধরে টান পর্যন্ত দিয়েছিলাম। ছেলেটা টের পেয়ে একটু পাশ ফিরল, সাথে সাথে বিবেক কিছুটা হলেও ফিরে এল আমার। আমি দৌড়ে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানি বের করলাম। বাথরুমে গিয়ে মাথায় ঢাললাম ঠাণ্ডা পানি। তাতেও কাজ হচ্ছে না দেখে দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলে ঢেলে দিলাম পুরোটা নিজের উদোম গায়ে।
তারপর?
ঠাণ্ডায় ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে আমি বাথরুম থেকে বের হলাম। আমার বড় ভাই, শান্তর বাবা আবার ততক্ষণে শব্দ পেয়ে ড্রয়িংরুমে দেখতে এসেছেন সমস্যাটা কি। আমি বাথরুম থেকে বের হয়েই তার সামনে পড়লাম।
তারপর?
ভাই কিছুক্ষণ আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। মনে হয় ভাবলেন আমার স্বপ্নদোষ হয়েছে।
অতঃপর উনি এক গ্লাস পানি খেয়ে কোন কথা না বলে উনার ঘরে চলে গেলেন। আমি ঠকঠক করতে করতে রুমে ফিরে এলাম। পরের রাতে শান্তকে আর আমার সাথে ঘুমাতে দেয়া হয় নি।
স্ট্রেঞ্জ।
অবশ্যই স্ট্রেঞ্জ।
তবে আমার সবচেয়ে স্ট্রেঞ্জ থটটাই তো আপনি শুনলেন না।
বলুন।
আমি স্যার তেমন ধার্মিক মানুষ না। বিয়ে করি নি, তাই মাস্টারবেট করেই সেক্সুয়াল নিড মেটাই। ড্রিঙ্কও করি একটু আধটু।
এছাড়াও আরও কিছু বদভ্যাস আছে, সেটা মনে হয় আপাতত আপনার না জানলেও চলবে।
আচ্ছা ঠিক আছে বলুন।
সেদিন হঠাৎ কি মনে হল, প্রেয়ারে বসলাম। গডের কাছে মুক্তি চাইলাম এসব কুচিন্তা থেকে। খুব ভালো লাগতে শুরু হল, জানেন স্যার? মনে হল এতদিন গডের কাছে কিছু চাই নি কেন? প্রিস্টরা যে বলে, গডের কাছে কায়মনোবাক্যে কিছু চাইলে তিনি তা দিয়ে দেন, সেটা হঠাৎ করেই সত্যি মনে হতে লাগলো আমার কাছে।
এটা তো ভালো লক্ষণ।
স্যার তারপরেই শুরু হল আমার নষ্ট মস্তিষ্কের বিকৃত খেলা। আমার হঠাৎ করে মনে হতে লাগল গড আমার ওয়াইফ। আমি গডের হাজবেন্ড।
ওহ নো!
আমি কিছুতেই নিজেকে সংবরণ করতে পারলাম না, স্যার।
অনেক কিছু করলাম, অনেক কিছু, কিছুতেই চিন্তাটা গেল না মাথা থেকে। বাসায় সেডিল ছিল, সেইরাতেই পনেরটা খেয়ে ফেললাম একেবারে। ওষুধের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। চিন্তা করুন স্যার, একদিকে মস্তিষ্কের শয়তান বারবার কুমন্ত্রণা দিচ্ছে, অন্যদিকে ঘুমের বড়ি এই নষ্ট মস্তিষ্কটাকে নিস্তেজ করে দিচ্ছে। এমন অদ্ভুত একটা অভিজ্ঞতা হল আমার...এই অভিজ্ঞতা যার না হয়েছে তাকে কিভাবে বলে বোঝাব স্যার?
...?
তিনদিন নিস্তেজ থাকার পর ঘুম থেকে উঠলাম।
আপনি বিশ্বাস করবেন না, উঠার সাথে সাথেই আমার সমস্যার সমাধান যেন অলৌকিকভাবেই পেয়ে গেলাম আমি।
কি সমাধান?
স্যার তার আগে আপনি বলুন, আপনি কতদিন হল প্র্যাকটিস করছেন?
হঠাৎ এ প্রশ্ন?
না, একটু প্লিজ বলুন?
সতের বছর।
তার মানে আপনার অভিজ্ঞতার কোন অভাব নেই। আচ্ছা স্যার, আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বলুন তো, আমার সমস্যার বেস্ট সলিউশন কি হওয়া উচিৎ?
এটা তো এক মুহূর্তে ভেবে বলা যাবে না। আপনাকে এটা আমি নেক্সট সিটিঙের আগে চিন্তা করে বলব।
এই মুহূর্তে কি আপনার মাথায় কোনই সমাধান খেলা করছে না?
হ্যাঁ, দু একটা তো আছেই।
এর মধ্যে বেস্ট কোনটা?
উমম...আমার মনে হয়, মনে রাখবেন আমাদের কথা কিন্তু রেকর্ড করা হচ্ছে, এই সমাধান কিন্তু আমি আপনার জোরাজুরিতেই না ভেবে বলছি, এটা আবার সমাধান হিসেবে অ্যাপ্লাই করতে যাবেন না...
না সমস্যা নেই আপনি বলুন।
আমার মনে হয়...সমস্যা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করাই আপনার ব্যর্থতার প্রধান কারণ...আমি মনে করি যে কুচিন্তা আপনার মাথায় আসে আপনি সেটাকে জাস্ট ইগনোর করবেন...বা ওটাকে চ্যালেঞ্জ করে মনে যে চিন্তাটা আসে সেটাকেই বাস্তবায়ন করতে যাবেন...তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কত বড় ভুল করতে যাচ্ছিলেন...তারপরই আপনার বিবেক জাগ্রত হবে ও আপনি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি যেটা করেন সেটা হচ্ছে ভয়, আপনি আপনার কুচিন্তাগুলোকে ভয় পান। এটা পাওয়া যাবে না।
ওগুলোকে জাস্ট ইগনোর করতে পারাটাই হবে আপনার সলিউশনের আর্ট।
এক্স্যাক্টলি স্যার! আপনি একদম আমার মনের কথাই বলেছেন! আমি ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার বুঝতে পারলাম, কুচিন্তাগুলো থেকে দূরে থাকার জন্য আমি তাদের থেকে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলাম। অন্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে ওগুলোকে দূরে সরাতে চেয়েছিলাম। আমি তাদের ভয় পাচ্ছিলাম। নিজের বিবেক আর মস্তিষ্কের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছিলাম আমি।
আর এজন্যেই তারা আরও বেশি জেঁকে ধরছিল আমার মস্তিষ্ককে। আমি বুঝতে পারলাম, স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, এটা আসল সমাধান ছিল না। আসল সমাধান হচ্ছে সমস্যাকে ফেস করা। যে চিন্তা আমার মাথায় আসে আমাকে সেটা করে দেখাতে হবে। আমি অনেক সাহস সঞ্চয় করে পরের সমস্যাটাকে ফেস করতে গেলাম।
আমার মাথায় যে চিন্তাটা ঘুরঘুর করছিল আমি সেটাই বাস্তবায়ন করতে গেলাম।
কি চিন্তা?
চিন্তাটা তেমন কমপ্লিকেটেড কিছু ছিল না। আজকে একটা ডুপ্লেক্স বাসার নিচতলায় দেখলাম একটা গ্যাসের সিলিন্ডার, লাইন চেক করে দেখলাম ভিতরে প্রেশার অনেক, মানে অনেক গ্যাস আছে। সম্ভবত অর্ডার দেবার পরে দোকানের লোক দিয়ে গেছে, বাসার ভিতরে আর নেয়া হয় নি।
তারপর?
হঠাৎ আমার কাছে মনে হল, গ্যাস ছেড়ে দিয়ে এই বাসাটাকে আগুনে পুড়িয়ে দিলে কেমন হয়? বরাবরের মতই চিন্তাটা জাঁকিয়ে বসল আমার মধ্যে।
এবার অবশ্য আমি চিন্তাটা থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করলাম না। যেহেতু আমার সমাধানটা হচ্ছে সমস্যাটা ফেস করা, আপনারও...তাই আমি সিলিন্ডারের মুখটা খুলে দিয়ে এলাম। নিচতলার একটু পাশেই দেখলাম কারেন্টের মেইন সুইচ, মিটার ইত্যাদি। আমি মেইন সুইচটা বন্ধ করলাম, তারের উন্মুক্ত স্থানে একটা লোহার পেরেক পেঁচিয়ে লাগিয়ে দিয়ে আসলাম। ঘরের মানুষ যখন টের পাবে অন্য সব বাসায় কারেন্ট আছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা মেইন সুইচ চেক করতে যাবে।
মেইন সুইচ চালু করলেই স্পার্ক হবে, অ্যাডেকুয়েট গ্যাস থাকলে বিস্ফোরণ হবে। ব্যস, বুম!!
কিন্তু...এতে কি আপনার সমস্যার সমাধান হল?
হল স্যার! আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না, একটু পরেই আমি নিজের ভুল বুঝতে পারলাম, দৌড়ে গেলাম নিচতলায়। গার্ডকে অবশ্য প্রথমবারেই অজ্ঞান করে নিয়েছিলাম, সে তখনও অজ্ঞান অবস্থায়ই ছিল। আমি স্যার মেইন সুইচের কাছে পৌঁছে...
কি করলেন? পেরেকটা খুলে আনলেন?
না স্যার। সাহস পেলাম না।
যদি কারেন্ট শক খাই? তাই স্যার ভয়ে ভয়ে...
কি করলেন?
শুনবেন?
হ্যাঁ বলুন।
বাসাটার দ্বিতীয় তলায় চলে এলাম। এসে দেখলাম...
কি দেখলেন?
আপনার চেম্বারের দরজা, স্যার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।