গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত
ডাইনোসর হারিয়ে যাওয়ার কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সেই আমলের বা তার আগের অনেক গাছ ও প্রাণীও যে পৃথিবীতে অটুট রয়ে গেছে। কথায় বলে রাখে আল্লা মারে কে। এই সব টিকে যাওয়া কালের সাক্ষীর সাথে পরিচিত হোন Ñ -
১. কোয়েলাকান্থ : ৬ ফুট লম্বা এই মাছ দক্ষিণ আফ্রিকার ইণ্ডয়ান মহাসাগরে সর্বশেষ ধরা পড়েছিলো ১৯৩৯ সালে। এই প্রজাতির মাঝ পৃথিবীতে ৪০০০ লক্ষ বছর আগে ছিলো।
বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন ৭০০ লক্ষ বছর আগেই এ মাছ পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে।
২. জিঙ্কগো : বিবর্তনবাদী ডারউইন টাসকি খেয়ে গিয়েছিলেন এই গাছ দেখে। তিনি একে ‘জীবন্ত ফসিল’ বলেছেন। ডায়নোসর আমলের এই গাছ এখনও চীনের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়।
৩. পেরিপাটাস : ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায় ছোট্ট এই পোকা।
পোকা বলে একে অবহেলা করবেন না। এরা পৃথিবীতে বসবাস করছে ৫০০০ লক্ষ বছর ধরে।
৪. ডন রেডউড : মেটাসেকুইয়া বা ডন রেডউড নামের এ গাছও চায়নায় দেখা যায় ১৯৪৬ সালে, জীবিত। ১০০০ লক্ষ বছরের পুরনো এ গাছের বংশবৃদ্ধি করা হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৫. তুয়াতারা : স্বরীসৃপ জাতীয় এই প্রাণীটিকে এখনও নিউজিল্যান্ডে দেখা যেতে পারে।
পৃথিবীতে এদের বসবাস কাল প্রায় ২০০০ লক্ষ বছর।
৬. ওকাম্পি : আফ্রিকার স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি জিরাফ গোত্রীয়। ৩০০ লক্ষ বছর ধরে বিবর্তণবাদীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে এ প্রাণী তার চেহারাকে অটুট রেখেছে।
৭. ব্রিস্টলকোন পাইন : খ্রীস্টপূর্ব ৬২০০ সালের নমুনা যেমন আছে, তেমনি বর্তমানের নমুনাও রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার হোয়াইট মাউন্টে অঞ্চলে এর এক জ্ঞাতী ভাই ৯০০০ ফুট উঁচু হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে, পিরামিড বানানোর কালে এর বেড়ে ওঠার শুরু।
৮. স্টিফেন আইল্যান্ডে ব্যাঙ : পৃথিবীর সব ব্যাঙের আদি পুরুষ এই ব্যাঙ। ১৭০০ থেকে ২৭৫০ লক্ষ বছরের পুরনো এই উভচরের প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে নিউজিল্যান্ডে। বর্তমানেও এর অস্তিত্ত আছে।
৯. কুমির : সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০ প্রজাতির কৃমির বর্তমান যাদের চৌদ্দ গুষ্ঠির হিসেব করতে গেলে ১৬০০ থেকে ১৯৫০ লক্ষ বছর পেছনে যেতে হবে।
১০. কচ্ছপ : ধীরে পায়ে চলতে চলতে কচ্ছপের বংশধররা ২৭৫০ লক্ষ বছর পার করে দিলো এই পৃথিবীতে।
২০০ থেকে ২৫০ প্রজাতির কচ্ছপ আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।