শুধু ভর্তি কেন, কয়দিন পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণও শুরু হবে
ছাত্র সংগঠংনগুলোর রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এই অনূভূতি ২০০১ সালের পর থেকে একটু একটু করে বাড়ছে। সব সময় আমি ছাত্র রাজনীতির পক্ষে কথা বলেছি। এখনও বলছি। তবে কতিপয় ছাত্র সংগঠন ক্ষমতার দর্পে এমনভাবে পাকা ডালিমের মতো ফেটে পড়ছে যে, এদের যন্ত্রণায় আমরা অস্হির।
আবু বকর ও আহতদের সমবেদনা জানাই। আমার ধারণা হয় এরা রাজনীতির মাফিয়াকরণের ফসল। রাজনৈতিক দল কোনো দেশেই ধোয়া তুলসি পাতা হয় না। কারণ, রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হলো ক্ষমতা দখল করা। এটাই রাজনৈতিক দলের একমাত্র বৈশিষ্ট্য নয়।
শুধু ক্ষমতাকে পাকড়াও করার রাজনৈতিক দলে ফ্যাসিবাদি হয়ে উঠার সকল শর্ত বিরাজ করে। ছাত্রলীগ কার কথা শোনে? মনে হয়, তারা যাদের কথা শোনে, তারা কখনো তলায় হাত দিয়ে কখনো দেখে না। অন্যকে ডুবানোর জন্য নিজেকে অনেক নীচে নামতে হয়!
ছাত্র রাজনীতি ক্ষমতার অংশীদারিত্ব দাবি করছে। ক্ষমতাসীন দল কতদিন ক্ষমতায় থাকবে এটাও তারা বোধ হয় ঠিক করতে যাচ্ছে। ভর্তি বাণিজ্য শুধু টাকার প্রশ্ন নয়, এটা ছাত্র সংগঠগুলোর সাথে শিক্ষায়তনের সম্পর্কের প্রশ্ন।
সবচে' মজার ব্যাপার হলো, ছাত্রলীগ মূলত: আওয়ামি লীগের ক্ষমতা চ্যালেন্জ করেছে। আমি নিশ্চিত না, তবে অবস্হাদৃষ্টে মনে হয়, শেখ হাসিনাকে ডুবানোর জন্য আওয়ামি লীগের মধ্যে একটি অংশ সক্রিয়। ছাত্রলীগের সম্প্রতি মাপজোখ ছাড়া, বেসামাল কর্মকান্ড দেখে মনে হয়, তাদের ঘাড়ের উপর আমলনামা লিখার জন্য কেউ নাই। এদের হায়া-মায়া বলতে কিছু নাই। এদের আমলনামা লিখছেন আওয়ামি লীগের মধ্যেকার একটি অদৃশ্য অংশ।
ওরা মনে হয় খিক খিক করে হাসে। প্রধানমন্ত্রির কথা শোনে না, এটা কী করে হয়।
সকল দলেরই অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনগুলো জামার মত, বেঢপ সাইজের হলে বেখাপ্পা লাগে। জামা বেশি ঢোলা, বেশি টাইট, দু'টো্ই খারাপ।
কী হচ্ছে দেশে ! ছাত্র দেখলে এখন আমি ভ্য় পাই।
কোন সংগঠিত শক্তি দেখলে আমার ডর লাগে। কিন্তু আমার ধারণা ছিলো, সংগঠিত শক্তি মুক্তির আধার। কী আশ্চর্য ! যেখানে এ সমাজ বদলের জন্য সংঠন দরকার।
আমার এক বন্দ্ধু বলেছেন:
" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটছে তাতে শিক্ষার মূলে কুঠারাঘাত করা হচ্ছে, রাজনীতি ধ্বংস তো হচ্ছেই । ছাত্রলীগ যদি ভর্তি নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তারা কী সার্টিফিকেট কাকে দেয়া হবে, সেটাও কী তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে।
তারা কী পরীক্ষাও নিয়ন্ত্রণ করবে? "
অন্যদের মন্তব্য:
১। আওয়ামী লীগ উন্নয়নমূলক কাজের গতি ত্বরান্বিত করলে ছাত্ররা ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা -কড়ি নিতে পারতো। তাই তো এখন তারা ভর্তি বাণিজ্য করছে।
২। শিক্ষার বেহাল অবস্হা দেখে তারা শিক্ষাংগনের কান্ডারী হতে চাইছে।
৩। ছাত্রসংগঠনগুলো এক অর্থে শিক্ষার পাঠশালাই তো ! আগামি দিনের নেতৃত্বই শুধু ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ।
৪। তারা তো কাউকে মারে না, মরে যায়। কখনো কখনো শহীদ হবার প্রশিক্ষণ দেয়।
এ সংক্রান্ত কিছু ভাবনা
কি বলবো বলুন। লক্ষণ ভালো না। আমার সারা শরীর গুলাচ্ছে। কেমন বিষবিষ লাগছে। তিতা তিতা হয়ে যাচ্ছি।
রাজনীতির ভেতর ভন্ডামি, নষ্টামি আগেই ঢুকে পড়েছে। মিথ্যা বলা তো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের কিংবা যা কিছু রাজনৈতিক সারবস্তু দলে এখনো তলানির মত রয়ে গেছে, তা লেপে-মুছে খাবার জন্য দৈত্যকূল বেরিয়ে পড়েছে।
ইতিহাসের অনেক অমিমাংসিত বিষয় আছে, যা নিয়ে বেশি নাড়া-চাড়া না করে গবেষণার জন্য রেখে দেয়া ভালো। আমাদের দেশের গ্রামের গ্রামের ঝগড়ায় চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা রেওয়াজ।
তাতে একধরনের স্হানীয় ইতিহাসের চর্চা হয় বৈ কি! বাংলাদেশের রাবনীতি এখনও মূলত গোষ্ঠিতান্ত্রিক ও চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধারের রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।