আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতাগুচ্ছ

কবিতা

মনের এই কারবারি নিদ্রার ভেতরে গান পয়সা একাকি বেহালা ভিক্ষুকের মতো পরিবার সারাদিনমান পথে পথে জুতো নিঃশেষ হয়ে যাওয়া কাহিনী দে দোল দে দোল সাতভাই চম্পা ঘুরেফিরে আসে। যারা দেখে তারা যায় নদী বিচ্ছিন্নতার ভাষা কখনো কাজে লাগে কেননা ভাষা শেখে মনের এই কারবারি কিভাবে করা যায়- আমি জানি। আমরা জনকলরবে এর ওর দিকে তাকাই ভাই তুমি কি এখানে ভাই তুমি কি খেয়াঘাটের মাঝি আমাদেরও সাথে নেবে। কিছুতো আছে - সরল রাস্তার পাশে জ্বলে ওঠা ঘোড়া পাশ্ববর্তী মেয়ে ঘাসে ঘাসে পলাশী পানিপথ আমাদের মৃত্যুদৃশ্য, ভোজসভা মধুর আহার। নিদ্রার ভেতরে তখন কারো মুখ- মগজের মাঝখানে পাখির মতো বাসা সেখানে দেহগুলো সাপের মতো লেপ্টে আসে।

আর তাকে কে ধরে কে বাজায়- আমি তাকে খুজেঁ খুঁজে হয়রান যে ঘুমায় পড়শীর ঘরে অদৃশ্য আর সে শধু কথা বিতরণ করে- আমাকে গোলক ধাঁধায় ফেলে দেয়। ১০/০২/২০০৯ কলহ ভূমি ব্যবস্থাপনা শেষ হলে তুমি অনেক দূরে যাও তোমার পথের নামে - বাদামী ঘোড়ার পালক আমার গ্রামের নামে - তোমার তরবারি দুজনে সবজনের কবরখানা কীভাবে চিনি। সঙ্গীসাথী জল-ঘড়া সবকিছু সাথে নিয়ে তুমি কোথায় যাও আমরা কোথায় যাই চাঁদ দেখার দূরহ কাজ আমরা কীভাবে করি আমাদের নদীসেবা কে করে কে তাড়ায় শিকারি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া শরীরের অংশ জানে- জল আর কখনো নিকটে নয় অনেক ভাষা সংকেত শিখে একদিন পাখির কাছাকাছি ছিলাম এখন দূরে থাকার বেদনা পাখির পালকে সমাহিত ঘাসের পিঞ্জরে! ২০/১০/২০০৮ কবির মৃত্যু নদী ব্যাকুলতা অহরহ। যেহেতু কুয়াশাব্রীজ নিচু হয়ে আসছে হাতের কাছে একদিন জল বিহ্বলতা জাগে এই মরুবিজড়িত চোখে।

তাই সমুদ্রইচ্ছা -হেডিসের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই শব্দদূত হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে গেছে জলদেহ নাভিমুখে। সেহেতু স্বভাব উড্ডয়ন আর বিচরণ সকল পৃথিবী ব্যাপি -দেহখানি উর্ধ্বগামি, এই চাঁদ জানে তাও—। কতোটুকু আলো বহনের ক্ষমতা শরীরে আছে আর গানের আকাশে চিরদিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। এখন প্রার্থনা নয় কাদামাটি কড়িকাষ্ঠ রূপোর থালায় । ব্লাকহোল ভেঙ্গে এক মিহি কন্ঠ ব্যাখ্যা করে সবকিছু -আদিঅন্তঅব্যয়অয় যাহাকিছু স্থির এবং গতিময় ওর জন্য আমাদের দরোজা জানালা খোলা।

১৪/০১/২০০৮ মুহূর্ত নিদ্রা ভঙ্গের দায়িত্ব সবারই থাকে কারণ কিছু স্বপ্ন ব্রীজের ওপার থেকে আসে। তাই হ্রস্ব হয়ে যাওয়া আকাশের চিহ্ন নীল বনবাতাস আমাদের গৃহমুখি ভাগ্য। তুমিও তো এমন সাঁতারপ্রবণ যে দরোজাগুলো খোলা রাখতে হয় কবে ডেউ জাগে চোখেমুখে কবে নৌকাগুলো ছুটে যায় রেল লাইনের ওপারে। প্রতিরাতে প্রতিকালে আমাদের নিদ্রাগুলো ছেলেমেয়েদের মতো দৌড়ে দৌড়ে স্কুলঘরে যায় কিন্তু ঘন্টাগুলো এমন যে কোনোদিন আর বাজে না। শুধু একটি মাঠ নদীভাষা ছুঁয়ে ব্লাকবোর্ডে মাছ হয়ে যায় - হায় মাছ প্রিয় জলভগ্নিমাতা তুমি আমদের জেগে থাকা নদীঘর।

১৩/০১/২০০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।