সময়ের প্রয়োজন
আমার ব্লগ পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে জ্ঞানী গুণী জন। প্রথম পর্বে মন্তব্য= ৮টি , ২য় পর্বে= ১ টি। এই পর্বে যদি কোন মন্তব্য না পাই, তবে আর কোন পর্বে হাত দিবনা।
খুবই সংক্ষেপে লিখি:
পরিবেশের এত সুন্দর ভারসাম্য, এত সুন্দর প্ল্যান, এত সৌন্দর্য, এত মনোহরণ যার মহিমা গেয়ে গেছেন হাজারো কবি। নির্বাক হয়েছেন হাজারো বৈজ্ঞানিক।
আর পরিবেশের যেখানেই হাত দিয়েছে মানুষ সেখানেই পরিবেশ তার ভারসাম্য হারিয়েছে।
যেমন: ১. পাহাড় কাটা
২. গাছ কাটা
৩. জলাশয় ভরাট
৪. কলকারখানা
৫. পারমানবিক চুল্লী
৬. যান্ত্রিক যানবাহন
৭. পশুপাখি নিধন
ইত্যাদি.......................
[যেহেতু আমার ব্লগের পাঠক কমে গেছে তাই পরবর্তী পর্বে যাওয়ার আগেই ছোটখাট একটা উপসংহার দিয়ে যাই। সাড়া পেলে এটা কেটে দিয়ে সামনে আগাব]
আমরা পৃথিবী নামক একটা বাহনে চলছি অজানা পথে, সাথে নিয়েছি একটা টর্চ লাইট (চাঁদ) গতিশীল এই পৃথিবীর চারিদিকে এক মহাজটিল পথে চলছে চাঁদ। সূর্য যত দ্রুত চলুক পৃথিবী ছাড়ছেনা সূর্য়কে। সূর্য় চলছে আরো দুরের গ্যালাক্সী কে কেন্দ্র করে।
যেহেতু মহাবিশ্বের সবকিছু গতিশীল , তাই একঘন্টা পরে কোনটি কোথায় থাকবে তা বের করতে দরকার জটিল ক্যালকুলেশন। নাই কোন স্থির বস্তু যাকে রাখা যায় চিন্হ হিসেবে। পৃথিবীটা অতিক্ষুদ্র মহা বিশ্বের তূলনায়। মানূষ হল এপর্যন্ত মানুষের পর্যবেক্ষনে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী। এখন যদি সব পশুপক্ষী-প্রানী কুল এসে মানুষের কাছে আবেদন জানায়, হে মহাজ্ঞানী মানুষ, আমরা কোথায় চলেছি আমাদের ভয় লাগছে তোমরা একটু নাওনা পৃথিবীর গতিপথের ভার।
মানুষ বলবে, পৃথিবীতো ঠিকমতই চলছে। ওরা বলল, আপনি কি নিশ্চিত পৃথিবী অনন্তকাল ধরে নিরাপদে থাকতে পারবে এই ব্লাকহোল খচিত মহাবিশ্বে। মানুষ: আমরা অক্ষম। আচ্ছা তা না হয় না পার পৃথিবীর ওজন স্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে, অন্য একটি স্তর গড়ে দাওনা । মানুষ: আমরা অক্ষম।
সমুদ্রের পানির উচ্চতার নিয়ন্ত্রনটা তোমরা নাও। মানুষ: আমরা অক্ষম, আসলে আমরা তো মাছি বা তার চেয়ে ছোট প্রানী তৈরীতেও অক্ষম। আমরা তো যা ই ভাল মনে করে করি, পরে দেখি চুড়ান্ত ফলাফল খারাপ। আসলে আমরা তো জানিইনা এক সেকেন্ড পরে কি হবে। জানিনা এই মাত্র কোথায় কি হল।
আমার শরীরে এই মাত্র কি পরিবর্তন হল তা তো আমার ল্যাপটপের ডাটাবেজে সংরক্ষন করতে পারলামনা। আসলে আমরা কিছুই জানিনা পারিনা। আমরা চোখে যা দেখি তা হল আমার ব্রেনে কিছু প্রোগ্রাম করা ইল্যুশন।
আমরা গেম খেলায় অনেক হাতি ঘোড়া মারি, শেষে দেখি কিছু বিদ্যুঃ ও সময় অপচয় ছাড়া কিছুই করিনি। বাস্তব জীবনেও তাই।
প্রিয় নাস্তিক ভাইয়েরা ক্ষমা করবেন। আমার ব্লগের নাম সমঝোতা । আমি সমঝোতা করতে চাই। কিন্তু মহাবিশ্বের ধাধায় পড়ে ভুলে যাই সব। আপনারা আমাকে একটু সাহায্য করেন।
আপনারা কিছু যুক্তি দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দেন যে, আমরা মহাবিশ্বে তন্ন তন্ন করে খুজেও সৃষ্টিকর্তাকে না পেয়ে নিশ্চত হয়েছি তিনি নাই। আমিও তো আপনাদের মত আলোতে থাকতে চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।