সকলকে অনেক শুভেচ্ছা।
২৫শে ডিসেম্বর! দিনটা এলে এখনও মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। আমার টিনএজ়ে এদিনটি ছিল আমর কাছে খুবই স্পেশাল। কোন একদিন কোন এক কারণে দুঃখ করি যে আমার জন্মে কেউ খুশি নয়। তাতে পাপা বলেছিলেন কে বলে সে কথা! তোমার জন্মদিনে সারা পৃথিবী আনন্দে মেতে ওঠে।
এই ২৫শে ডিসেম্বরই আমার জন্মদিন-এই ভেবে খুব গর্ব হত যিশুর সাথে আমার জন্ম! যেহেতু আমাদের পরিবারে জন্মদিনের পাঠ নেই, তাই সে দুঃখও ভুলতাম সবাই নিজেরাই আনন্দে কেক খাচ্ছে – এই ভেবে।
সে সময় একলা থাকলেও আমার নিজস্ব একটা জগৎ ছিল। এদিন সে জগতে সাজ সাজ রব! সবার প্রথমে তিন-চারদিন ধরে আমার ছোটবেলার একটিমাত্র আমার অর্ধেক, চোখ পিট্পিট্ করা রাজপুত্র পুতুল ছিল। সেটিকে তুলো, গদের আঠা আর লাল ভেল্ভেট পেপারে সান্টাক্লজ সাজাতাম। তার জন্য একটা টেবিল সাজান হত।
সেখানে ভাসা ভাসা চোখে মুচকি হেসে যিশুও থাকতেন। চারদিক ছোট টুনিবাল্বে ঘেরা হত। আমার ছোট্টঘরে সন্ধে হলেই বড় আলো নিভিয়ে মোমের মিঠে আলো জ্বলে উঠত। কেক আর চকলেটের ভেতর আমার সান্টা আর যিশুকে দেখে আনন্দে মন ভরে উঠত। সে সময় হয়ত পাপা টুক্ করে একটু উঁকি মেরে মুচকি হেসে চলে যেতেন।
আর রাতে মশারিতে মোজাও টাঙাতাম! খুব ছোটতে না বুঝলেও পরে ঠিকই যানতাম পাপাই আমার সান্টা হয়ে সে ঝুলি ভরবেন। তবু খুব খুব ভাল লাগতো।
আজও তেমনি কত শিশু নিজেদের মত করে আনন্দে মেতে উঠেছে দেখে খুব ভাল লাগছে।
যিশুর সেই ভালবাসায় পৃথিবী ভরে উঠুক।
আমরা সবাই এই ধরিত্রী মাতাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলি।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।