সব অভিমান আকাশের চেনা চেনা..
ছোটবেলায় কখনও বাসায় কেউ বলেনি রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে হবে। বাড়িতে একটা আবক্ষ কাঁসার রিলিফ ছিল এই যা। হঠাৎ করে এক সুশীলতনয়ের কল্যাণে বন্যার ক্যাসেট হাতে এলো। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পয়সায় সেই অ্যালবামটা বেশ ভালো ছিল, অন্তত চলতি রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গীত নির্দেশনার তুলনায় । তারপর একটা দুটো করে শুনতে শুনতে ভক্ত হয়ে যাওয়া।
কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে বুঝলাম বড় ভুল হয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের গান শোনাটা "কুল কিড" হবার জন্য বড় ডিসকোয়ালিফিকেশন সেটা বুঝে গেলাম। রাজনৈতিকবোধ একটু পক্ক হবার পর দেখলাম কট্টর বামপন্থী আর কট্টর মৌলবাদী মুসলমানের চক্ষুশলূ এই বুড়ো। নব্য আঁতেলরাও (এদের কি পোমো বলে?) দেখি পারলে ভদ্রলোককে দুটো ল্যাং মেরে দেয় । গাড়িতে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজাতে বললেই মানুষ মুখ কালো করে, কিন্তু অল্টারনেটিভে কদাচিৎ আপত্তি থাকে কারও।
এতো সব বিবেচনা করলে রবিঠাকুরের গান শোনাটা বস্তুত নিজের ইমেজের মাথায় কুড়োল চালানো।
তারপরেও শুনি, পরম আনন্দে শুনি, গভীর বিষাদে শুনি, দৃপ্ত অঙ্গীকারে শুনি, অন্তহীন ভালোবাসায় শুনি, মুগ্দ্ধ হয়ে, উদ্ভ্রান্ত হয়ে শুনি রবীন্দ্রনাথের গান।
সত্যজিৎ রায় কথা প্রসঙ্গগে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের সব সৃষ্টি লীন হলেও তার সঙ্গীত বহুদিন বেঁচে থাকবে। ডিজুস জেনারেশনে এই কথা কতোটা খাটে আমি জানি না, তবে আমি বেঁচে থাকি তোমার গানে হে স্বপনপারের কবি,
তোমায় প্রণাম...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।