এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
ঈদের পর হুট করে সিদ্ধান্ত নিলাম সেন্টমার্টিনে যাব, যেই কথা সেই কাজ ।
কয়েকজন বন্ধু মিলে চলে গেলাম সেন্টমার্টিনে । পর্যয়ক্রমে সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । আজকে তারই ৬ষ্ঠ এবং শেষ পর্ব । আগের পর্ব দেখুন এখানে..http://www.somewhereinblog.net/blog/sadamonarmanus/29059538
শিশুর দল খেলা করছে সমুদ্রের বালুকাবেলায়
ছেড়াদিয়া দ্বীপঃ সৌন্দর্য্য যেখানে অফুরন্ত.........
ছোট্ট এই দ্বীপের যেদিকেই তাকাবেন এমন সৌন্দর্য্যে আপনার চোখ জুড়াবেই
দ্বীপে এই গাছের আধিক্য, আর অনেক গাছেই এমন নাম না জানা ফল ঝুলে আছে
জোয়ার-ভাটার খেলা, নৌকা কখনো পানিতে কখনো ডাঙ্গায়
এই রূপ দেখে আমি মরতে পারি, তেমনি পারি ওগো বাঁচতে..........
জেলেদের জালে ধরা পড়া মানুষের খাওয়ার অযোগ্য কোন একটি কাটাওয়ালা মাছ, বালুত সে মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনছে
হাজারো রকমের প্রবালের কয়েকটি.............
অল্প পানিতে দুটি মাছ
এখানকার পাথরগুলো খুবই দাড়ালো খালি পায়ে হাটা চলা করার কোন সুযোগ নাই ।
ভাটার সময় পানি নীচে নেম যাওয়ায় পাথরের মাঝে আটকে পড়া কয়েকটি মাছ বর্তমানে বোতলের বাসিন্দা ।
১২/১৩ বছরের একটা ছেলের হাতে ওরা ধরা পড়েছে ,
ছেড়াদিয়া দ্বীপে মাছ খাওয়াটা বিপদ জনক, আমাদের একজনের ডায়রিয়া হয়ে গিয়েছিল, পরে টেকনাফে এসে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল ।
ফেরার পথে জাহাজে আমাদের সহযাত্রী ছিলেন কুমার বিশ্বজিত, তাই আমাদের সাথে পোজ না দিয়ে আর উপায়ই বা কি ?
নাফ নদীর ওপারে মায়ানমার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া কোন একটা মন্দির ও স্থাপনা দেখা যাচ্ছে, জাহাজে থেকে তোলা ছবি ।
শেষ বিকালে আকাশে রঙের খেলা
সর্ব শেষ ফটোগ্রাফারের একটা শট না নিলে কি চলে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।