আমরত্বের প্রত্যাশা নেই , নেই কোন দাবি দাওয়া.....!
গত মাসের ১৫ তারিখ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের ইউনিয়ন সেন্ট মার্টিন ঘুরে আসলাম।
ব্লু লেঘুন সিনেমাটি দেখার পর থেকেই দ্বীপ দেখার ইচ্ছা। সেই ইচ্ছাটা সেদিন পুরণ হল।
টেকনাফ থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় ঈগলের জাহাজে উঠলাম। ধীরে ধীরে জাহাজ পার হয়ে গেল নাফ নদীর মোহনায়।
একদিকে বাংলাদেশ অপরদিকে মায়ানমার। জাহাজ একসময় সব বসতির চিহ্ন মুছে দিয়ে বঙ্গবোসাগরে গিয়ে পড়ল। চারদিকে সমদ্রের নীল জল।
জাহাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রায় ঘন্টা দুই পড়েই চোখে পড়ল সেন্টমার্টিন দ্বীপ।
দুপুর দুইটার দিকে সেন্টমার্টিনে নামলাম। নারিকেল গাছের সাড়ি। প্রবাল আর সহজ সরল কিছু মানুষ।
অবকাশ বিচে পাক্কা তিনঘন্টা লাফালাফি ঝাপাঝাপি।
কিন্তু কপাল খারাপ ছিল সুর্যাস্ত দেখতে পাইনি আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল বলে।
অনেক রাতে বসে রইলাম বিচে।
পরদিন খুব ভোরে উঠে সুর্য উদয় দেখলাম।
ট্রলারে করে গেলাম ছেড়াদিয়া দ্বীপ। যা এক সময় সেন্টমার্টিনের সাথে যুক্ত ছিল।
এক অবাক করা দ্বীপ!
মাত্র একটি পরিবারের সাতজন মানুষের বাস এই দ্বীপে।
স্বপ্নের মতই সুন্দর একটি দ্বীপ।
সেখান থেকে ফিরে আাবারো সাগরে ঝাপাঝাপি
দুপুরে কড়াল, রুপচাদা দিয়ে খেয়ে উঠে পড়লাম ঈগল জাহাজে।
পিছনে পড়ে রইল এক প্রবাল দ্বীপ। যা কেবল হাতছানি দিয়ে ডাকে।
অনেকেই বলে ছিল সেন্ট মার্টিন গিয়ে ভালো লাগবেনা কারণ একা যাচ্ছি।
তাদের সব ধারনা ভেঙ্গে দিয়ে অসম্ভব রকম ভালো লেগেছে সেন্টমার্টিন ভ্রমন।
সাথে কেউ থাকলেই বরং তার দিকে নজর দিতে গিয়ে সেন্টমার্টিন দেখা হতোনা । দুচোখ ভরে।
আবারো আমার সমানে নিজেকে মেলে ধরো সব টুকু ভালোবাসা দিয়ে। তোমার সব সৌন্দর্য আরো দেখতে চাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।