এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
ঈদের পর হুট করে সিদ্ধান্ত নিলাম সেন্টমার্টিনে যাব, যেই কথা সেই কাজ ।
কয়েকজন বন্ধু মিলে চলে গেলাম সেন্টমার্টিনে । পর্যয়ক্রমে সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । আজকে তারই তৃতীয় পর্ব । আগের পর্ব দেখুন এখানে..http://www.somewhereinblog.net/blog/sadamonarmanus/29058016
উপরের তিনটা ছবিই টেকনাফের সবচেয়ে বড় হোটেল 'ব্লু মেরিন' এর । একটা তিনতলা বিল্ডিং আরেকটা টালি বসানো চৌচালা ঘর আর রয়েছে তাবু ।
এবার পর্যটকরা ইচ্ছে অনুযায়ী থাকতে পারেন । আমরা ছিলাম টালির ঘরে, যদি ও আমার ইচ্ছে ছিল তাবুতে থাকার । কিন্তু বন্ধুদের ইচ্ছের কাছে আমাকে হার মানতে হয়েছিল । এই হোটেলটা একেবারে সৈকত সংলগ্ন , সৈকতের যেখানে শেষ সেখানেই হোটেলের সীমানা শুরু...
বাক্স পেটরা হোটেলে রেখেই ছুটলাম সাগরের ডাকে, আর প্রথমেই ডাব খেতে গিয়ে খেলাম নারকেল । বললাম নারকেল কেন ডাব খাওয়ান, ওরা বলল এখানকার আরেক নাম নারকেল জিন্জিরা এখানে ডাব পাবেন না, শুধুই নারকেল ।
কাকতালিয় কনা জানিনা, আসলেই এখানে আমাদের কচি ডাব খাওয়া হলো না ।
যে দিকে তাকাই এমন নজর কাড়া সৌন্দর্য্য
শুটকী শুকানো হচ্ছে..........
বালুর উপর এই কলমি ফুলের মতো গাছগুলো সৈকতকে দিয়েছে অনন্য রূপ.......
দ্বীপের সর্বদক্ষিন পাশের ছবি এইটা, উত্তর পাশটায় যাওয়া হয়ে উঠেনি ।
সাগরের উদাত্ত আহবানে এক সময় নেমে যাই সাগরে, সবাই আমরা হয়ে যাই শিশু । সাগরে নেমে সব বয়সী মানুষই আমি শিশু হয়ে যায় কেন জানি ।
এমন সুন্দর পরিবেশ মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে কার মনে না চায় ?
পানি নেমে যাওয়ার পর বালির সৌন্দর্য্যটা হয় দেখার মতো ।
সূর্যের আলো লেগে পানিতে মুক্তোর সৃষ্টি !
সাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার ।
[img|]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।