এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
ঈদের পর হুট করে সিদ্ধান্ত নিলাম সেন্টমার্টিনে যাব, যেই কথা সেই কাজ ।
কয়েকজন বন্ধু মিলে চলে গেলাম সেন্টমার্টিনে । পর্যয়ক্রমে সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । আজকে তারই ৫ম পর্ব । আগের পর্ব দেখুন এখানে..http://www.somewhereinblog.net/blog/sadamonarmanus/29059084#c3738355
আমাদের হোটেলের সান্ধ্য আয়োজন, রাত ১২ টা পর্যন্ত জেনারেটর চলবে অতপরঃ এই ব্যবস্থা.....
সন্ধ্যার পরই পুরো দ্বীপ ডুবে গেল চাদের আলোয়, কি যে সুন্দর না দেখলে কাউকে বলে বুঝানো যাবে না । নারকেল গাছগুলোতে কেমন একটা আলো আধাঁরির খেলা, আর সাগরের পানিগুলো যেন রুপালী কোন তরল পদার্থ, সেই সাথে যেকানে এসে ঢেউগুলো আছরে পরছে সেখানে যেন সাদা বিদ্যুতের চমক ।
বলা চলে এমন সুন্দর কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি.................
স্থানীয়দের বিনোদন, গিটারে সুর তুলে একজন বাউল গান গাইছে আর মহিলা সহ অন্যরা আহা উহু করে গায়ককে প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে ।
আর সেই সুরে বিমোহিত হয়ে কিছু পর্যটক ও নাচ জুড়ে দেয়
আমাদের আবাসে হারিকের জ্বলছে
পরদিন ভোরে আমাদেরকে স্বাগতম জানাল যে সূর্য্য
আমার ইচ্ছে ছিল খুব ভোরে উঠে হেটে ছেরা দ্বীপে যাব, কিন্তু বন্ধুরা হাটতে নারাজ হওয়ায় ট্রলারে করেই ছেরা দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই
স্পীডবোটেও যাওয়া যায় ছেরা দ্বীপে, সেক্ষেত্রে খরচটা একটু বেশী ।
এক সময় পৌছে যাই অপার সৌন্দর্য মন্ডিত ছেরা দ্বীপে, আহ! স্বর্গ কি এর চাইতে সুন্দর হইতে পারবে !!!!
ট্রলার থেকে নেমে একটা ছোট্ট নৌকায় করে আমরা দ্বীপে পৌছলাম ।
এমন সুন্দরের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলাটা কি অস্বাভাবিক কিছু ?
[img|]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।