একটি মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন
আয়তনে পঞ্চান্ন হাজার নয় শত অষ্ট আশি বর্গ মাইল
যতদুর দৃষ্টি যায় ছুঁয়েছে আকাশের নীল।
এটি হবে ঐতিহাসিক মঞ্চ
এবং বিশ্বে এতো বড় মঞ্চ
আত্মহত্যার মঞ্চ
কোথাও হয়নি আগে কোনদিন।
হ্যা..এখানে আত্মহত্যার মহা উৎসব পালিত হবে।
কার এবং কাদের আত্মহত্যা এখনো তা স্পষ্ট নয়;
মঞ্চের ব্যাকসিন কালো..সাদা ব্যানারে লাল অক্ষর
সূর্যের আলোয় এতটাই লাল..শব্দগুলো বর্ণচোর।
অল্পতেই আমাদের আগ্রহ প্রবল
বিশাল লাল সামিয়ানার নিচে তাই নেমেছে ঢল..
উত্তর থেকে এসেছে সারি বেঁধে পিঁপড়ার মতো
দক্ষিন-পূর্ব সকল বাড়ি সকল গ্রাম;মানুষ যতো,
কেবল উৎসাহে ভাটা পশ্চিমে;আগ্রহ কম
গণ হত্যার নায়ক,যারা ছিল মুক্তির জম।
কিছুক্ষণ পরে দিকবিদিক চূর্ণ করে এলো
ক্লান্ত-শ্রান্ত বয়সের ভারে নুয়ে পড়া দেহ
টানতে টানতে অপরাধীর মতো মঞ্চে প্রবেশ
কেউ কবর থেকে,কারো গায়ে শশ্মানের কালি
কারো পড়নে নেংটি কারো কাফনে শত ছিদ্র তালি
বুকের তাজা রক্তে যারা মুক্ত করেছে এ দেশ।
সংখ্যায় তারা শত-হাজার-লক্ষ গোনা মুশকিল
আত্মহত্যার মঞ্চে প্রস্তুত;প্রস্তুত আকাশের চিল।
আজ এখানে আত্মহত্যার উৎসব;সম্পন্ন সব
৫২,৭১,৯০ সময়ের দাবি মুক্তির কলরব।
আত্মহত্যার আগে সবাই তাকালো আকাশের দিকে
স্বাধীনতা চাওযা ছিল অপরাধ;সকলের সমস্বর
মানচিত্র...পতাকা রাজাকার নিয়েছে লিখে
তবে তাই হোক..যুদ্ধাপরাধী বাচুক হাজার বছর।
তারপর...চারদিক নিস্তব্ধ সারিসারি মৃত দেহ
মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা জানলো না কেহ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।