আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাপ্রধানের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলাম: শফিক রেহমান

ছাত্র

পত্রিকাটি আমি বিক্রি করিনি। পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে আমি পদত্যাগও করিনি। এখনও যায়যায়দিন পত্রিকার পেছনের পাতায় সম্পাদক রূপে কারও নাম নেই। বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তদানীন্তন সেনাপ্রধানের অসন্তোষ এবং অভিপ্রায় উল্লেখ করে এপ্রিল ২০০৮-এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল মাত্র তিনদিনের মধ্যে আমাকে সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিতে হবে।

প্রচণ্ড চাপের মুখে আমি বাধ্য হয়েছিলাম পাঁচ দিন পরে সেটাই করতে। আমি তখন কোন আপস করতে রাজি হইনি। কম্প্রোমাইজ করিনি। সেনা অফিসারদের সঙ্গে বিপ্লবী সম্পাদকের মতো পিলখানায় লাঞ্চ খাইনি। গলফ ক্লাবে দহরম মহরম করিনি।

গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে শফিক রেহমান যায়যায়দিন পত্রিকা থেকে কোন পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেছিলেন তা উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমিও ওই অবৈধ সরকারের সময়ে মানব অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। পঁচিশ বছরের কষ্টে গড়া যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম। আমি রাজি হইনি গোয়েন্দা সংস্থার সাপ্লাই করা সিডি?র বিবরণ বা দুর্নীতিবাজদের লিস্ট ছাপাতে। বরং আমি ছেপেছিলাম বিএনপি কর্মীদের হাতে বিএনপি?র জনৈক সংস্কারপন্থি নেতার জুতাপেটা হওয়ার ফটো।

তদানীন্তন সেনা প্রধানের আলুপ্রেম এবং চূড়ান্ত ক্ষমতা দখলের অভিলাষ সম্পর্কে। আমি লিখেছিলাম দুই নেত্রী মাইনাস থেকে প্লাস হবেন, তিন উদ্দিনই মাইনাস হয়ে যাবেন। এর ফলে আমি বিশেষ মহলের রোষানলে পড়েছিলাম। আমি খুশি যে, সেদিনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে। তবে আমি দুঃখিত যে, আমার ওই সময়ের ভূমিকার কারণে যায়যায়দিন পত্রিকাটি আমার হাতছাড়া হয়ে গেছে।

প্রকাশিত লেখায় ওয়ান-ইলেভেন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই- ১১ই জানুয়ারি ২০০৭-এর পর যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল, তাদের কেউ কেউ হয়তো কম-বেশি দোষী। তাদের বিচার হওয়া উচিত ছিল প্রচলিত আইনের যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে। কোন উচ্চাভিলাষী সেনা অফিসারদের যাদের কেউ কেউ পরবর্তীকালে নিজেরাই দুর্নীতিপ্রবণ রূপে পরিচিত হয়েছেন, তাদের তৈরি ক্যাঙ্গারু কোর্টের বিচারে নয়। এবং এক ধরনের বৈষম্যপরায়ণ সম্পাদকের মিডিয়া ট্রায়ালে তো নয়ই। তিনি বলেন, মানব অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশে প্রায় দেড়শ?টি বেসরকারি সংস্থা আছে।

কিন্তু ১১ই জানুয়ারি ২০০৭-এর পর সেনাদের একাংশ এবং মিডিয়ার একাংশ সমর্থিত একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এসে যখন স্বেচ্ছাচারীভাবে মানব অধিকার লঙ্ঘন শুরু করলো তখন কেউ কোন কথা বলেনি। একটি উচ্চবাচ্যও করেনি। এই তো তাদের সাহসের নমুনা। মানব অধিকারের সবচেয়ে প্রচলিত কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অধিকার কেউ দেয় না, অধিকার আদায় করে নিতে হয়। Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.