এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। ... ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে।
অপেক্ষার ঘ্রাণ
তোমার দুপাশে রাস্তা, সাজানো হর্ম্যের
অলিন্দ থমকে আছে, চারিদিকে আলোর চাতুরি
চোখজোড়া ঝুলিয়ে রাখবো ঝাড়বাতির সাথে,
শুধু নাচ দেখবো, গভীর রাতে
পাতার কান্না শুনি ঝিকমিকে আঁধার নির্জন
সবুজ প্রহার..
এ সবই শীতল দৃশ্যে লেপটে থাকে
পাল রাজাদের বিজয় স্তম্ভের উর্ধ্ব গ্রীবা গর্বে
গত রাতে সারা রাত মাথা তুলে জেগেছিল
স্বপ্নের ভিতর কিংবা মৃত্যুর ভিতর কিংবা
জাগরণে, সূর্যের ভিতর
একাকী, নিঃসংগ, এই আত্মঘাতী শোকের ভিতর
পদশব্দে মনে হবে বাতাসের নিষ্টুর শাসানি
বহুদূরে শাণ দিচ্ছে ভয়ানক কৌতুকের থেকে।
অপেক্ষায় থেকো।
বাজি হারা মানুষের উৎসবে যাবো, পরিচয়হীন আঙুলের
টোকা থেকে বুঝে নেবো জলসা ঘরের ঠিকানা,
যন্ত্রণার উজ্জ্বল থাবার ভিতর ঢুকে গিয়ে ফিরবো না আর
অন্যমনে একদিন ভালোবাসা কড়া নেড়ে যাবে
তবু অপেক্ষায় থেকো।
কাঠের ঘরের আলো আধাঁরির
সুপ্রাচীন কর্মফলে- নির্জন রহস্যে ;
রহস্যের রোমাঞ্চ ভাষায় আরো কেউ যেন জেগেছিল।
সেই আদিম আকারে
এতো এতো আল্পাইন সমারোহে?
বাষ্পরুদ্ধ অস্তিত্ব সংকটে - চেয়ে দেখি অনিমেষ
অঙ্গারিকা মোমের সুবাসে ভাসে স্বপ্নাচ্ছন্ন রেশ।
পাদটীকা
আজকাল ব্লগে অনেকেই অন্যের কবিতা নিজের নাম পোস্ট করছেন, কিংবা প্রসিদ্ধ কবিদের কবিতা থেকে হবহু পঙ্ক্তি ও শব্দগুচ্ছ তুলে সামান্য রদবদল করে নতুন কবিতা লিখছেন, যাঁকে ব্লগবাসীগণ চুরি করা কবিতা বলে অভিহিত করছেন। তো, নিছক ফান করার উদ্দেশ্যে ব্লগে প্রকাশিত কবিতা থেকে কবিতাংশ নিয়ে উপরের কবিতাটি লিখে ফেললাম আমি নিশ্চয়ই এতো ভালো কবিতা লিখতে পারবো না, কিন্তু আপনারা কেউ কি বলতে পারবেন, কার বা কাদের কবিতা নিয়ে এটি লেখা গেলো?
কেউ মাইন্ড কর্লে প্লিজ বলবেন।
আর গ্যারান্টি থাকলো, এটা নিজের নামে চালানোর কোনো মহৎ উদ্দেশ্য আমার নেই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।