ঈদের ছুটি শেষ হয় হয় এমন অবস্থায় বিরাট ঝুঁকি নিয়ে কক্সবাজার গেসিলাম। মূল উদ্দেশ্য ছিল সেন্টমার্টিন । ট্রলারে করে যাব। অন্তত একটা রাত থাকব। আমার এক বন্ধু বলসিল ট্রলারে করে যাওয়াটা একটা বিরাট অ্যাডভেঞ্চার।
কোন অবস্থাতেই আম্মাকে রাজী করাতে পারলামনা। শেষে যাওয়াটাই বন্ধ না হয়ে যায় এই ভয়ে আম্মার শর্তগুলো মানতে হল। সেন্টমার্টিনে যাবার জন্য ছোট ছোট বেশ সুন্দর জাহাজ আছে। আপনি যদি ভীষন নিরাপদে গাইডের পিছে পিছে ঘুরতে চান তার জন্য দারুন ব্যবস্থা সেখানে । ভূলেও এমন কাজ করবেননা।
হাতে সময় না নিয়ে সেন্টমার্টিন যাবার কোন মানে হয়না। পানি এত্ত নীল সেখানে ! কক্সবাজারের মত ঘোলা নোংরা পানি নয়। তবে কাকড়ার গর্তে ভর্তি সৈকত।
এই যে ছবি !
নাফ নদীতে ভোরবেলা
নীল সমুদ্র পেরিয়ে দারুচিনি দ্বীপের পথে
পানিতে হঠাৎ দেখা গেল একটি স্পষ্ট রেখা মোহনা আর সত্যিকারের সমুদ্রকে আলাদা করে দিয়েছে। এপাশের পানির রং হালকা আর ওপাশে ঘন নীল।
বাঁচাও বাঁচাও আমি বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাচ্ছি
কক্সবাজারে গেলে হিমছড়ি তো যাওয়াই উচিত। আমরা রওনা হয়েছিলাম ইনানী বীচ । যাবার পথে গাড়ি থামিয়ে একটু দেখে গেলাম আরকি।
হিমছড়ি ঝর্না। মানুষজনের অবস্থাটা দেখসেন ?
হিমছড়ি পাহাড়ের ওপর থেকে তোলা।
যে রাস্তাটা ধরে আমরা এসেছি , রাস্তার ধার জুড়ে ঝাউগাছের সারি। সমুদ্রে মেঘের ছায়া পড়েছে।
নানা ধরনের ফল বিক্রি হয় পাহাড়ের নীচে । মাঝখানের এই লাল ফলটার নাম টিপাফল। টিপে টিপে খেতে হয় তাই।
টক।
কক্সবাজার থেকে ইনানী সৈকত অনেক বেশী ভাল লাগসে । প্রবালে ভর্তি ।
ইনানী থেকে কক্সবাজার যেতে পথে অনেকগুলো দারুন বিশাল বিশাল ঝর্না আছে। বর্ষায় সেগুলির আসল রূপ পাওয়া যায় ।
ক্যামেরার চার্জ শেষ হয়ে যাওয়াতে ছবি দেয়া গেলনা। আমার কাছে তো হিমছড়ি ঝর্নার চাইতেও এগুলো অনেক বেশী সুন্দর মনে হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।