আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলাম শান্তি আর সত্যর র্ধম।

পৃথিবীর বুকে বেচেঁ থাকা আর তার জন্যই ভালবাসা। । । ইসলাম শান্তি আর সত্যের র্ধম। ।

ইসলাম শান্তি আর সত্যর র্ধম এখানে হিংসার জায়গা নেই। মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ, একজন মানুষকে হত্যা করা আর সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করা সমান কথা আর এটাই সত্যিকার অর্থের ইসলামের কথা। ইসলামের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধের ময়দানে হাতিয়ার ধরে তখন নিজেদের জীবন আর সজাতিকে রক্ষায় হত্যা বৈধ হয় তবে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে নয়। ভিন্ন র্ধমের বা মতের লোকেরা ইসলাম নিয়ে নানা কথা বলবে তাই বলে তাদেরকে হত্যার কথা ইসলামের কোথাও নেই। বরং ইসলাম বলে যারা তোমার রবকে গালি দেয় তোমরা তাদের রবকে গালি দিওনা তাহলে তারা প্রকান্তরে আমাকেই গালি দিবে।

ভিন্ন মতের বা র্দশনের মানুষদের সত্য ও সুন্দরে আহবান জানানোই হলো ইসলামের মূল মন্ত্র। হিকমতের সহিত ইসলামের পথে ডাকতে হবে নাস্তিকদের তাদের ভূল যুক্তিকে ইসলামের ধারালো যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে হবে আর এর নামই হল ইসলাম। যারা যুক্তি প্রর্দশনে অক্ষম বা ধর্মের পথে সঠিক ভাবে ডাকতে অক্ষম তারা ধর্ম প্রচারের গুরু দায়িত্ব না নিলেই পারে। ইসলাম ধর্ম কারো দয়ার অপেক্ষায় খোড়া হয়ে থাকেনি থাকবেও না, এটা আল্লাহর মনোনীত একমাএ জীবন বিধান এর প্রচার ও প্রসার আল্লাহ তার নেক ও ঈমানদার বান্দাদের দ্বারা করাবেন। এই পৃথিবীর বুকে রক্ত প্রবাহ বইয়ে দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি আমাদের নবী ও তার সাহাবীরা শ্রমের বিনিময়ে আর সত্যর ধারক ও বাহক হয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সুতরাং যারা সত্যিকার অর্থে ইসলামের সেবক তারা মানুষ হত্যার মধ্যেদিয়ে ইসলামের সর্বনাষ করছেন। আমেরিকার চালে পড়ে মুসলিম ধর্মান্ধদরা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে ইসলামের যে অপরিসীম ক্ষতি করছে তাতে লাভবান ইহুদি নাসারারা। ভারত বর্ষে ইসলাম রক্তের হলি খেলে ছড়িয়ে পড়েনি বরং মিথ্যার সামনে সত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই ইসলামকে রক্ষার নামে কোন নাস্তিক বা ভিন্ন মতের মানুষকে হত্যা করা( যুদ্ধের ময়দান বাদ দিয়ে) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল। ।

। বাকস্বাধীনতার দোহাই। । ব্যক্তির বাকস্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে অন্যের র্ধমীয় অনুভূতিতে আঘাতহানা বা অসত্য তথ্যকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো, এটা সকল ধর্মের জন্যই প্রযোজ্য। যুক্তি যেখানে থাকেনা সেখানে ভর করে তর্ক আর তর্কের উপর আসীন থাকে শয়তান।

ইসলাম ধর্ম বা মহানবী কে নিয়ে যেকোন ধরনের কুমন্ত্যবের প্রতিবাদ আমরা মুসলাম মাএই করবো এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব কিন্তু এটা ভুললে চলবেনা যে প্রতিবাদের ভাষা যেন হয় ধর্মের পথ অবলম্বনে। সত্য যখন আপন মহিমায় ভাসকর তখন মিথ্যা তার স্বাভাব গত কারণেই বিলুপ্ত হয় এটা ইসলামের কথা তাই মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে ধর্মের যুক্তি নিয়ে, হুমকি বা বল প্রয়োগ করে নয়। । । অপরাধীর শাস্তি ধর্মের বিধান।

। ইসলাম ধর্মে অপরাধী যেই হোক তার বিধান অনুসারে সাজা হওয়া আবশ্যক কারণ ধর্ম অন্যায়ের সাথে আপোস করে না। আমরা যারা যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার চাই তারা শুধু মাএ সংগঠিত অন্যায়ের বিচার চাই এটা ন্যায্য দাবি এখানে ভিন্ন মতের কোন স্থান নেই। কেউ যদি ধর্মে দিক দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন কিন্তু যুদ্ধ অপরাধের সাথে জড়িত থাকেন তবে ধর্মের দোহাই দিয়ে তার পক্ষ নেওয়ার অর্থ হলো অন্যায়কে সমথর্ন জানানো। আবার অপরাধীর সাজার আড়ালে ধর্মকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা সমর্থন যোগ্য নয়।

শুধু মাএ অপরাধী ও অপরাধ সংগঠনকারী ব্যক্তি বা দলকে আইনের আওতায় শাস্তি ও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে কিন্তু কোন অবস্থাতেই ধর্ম ভিওিক রাজনীতিকে নয়। কমিউনিস্টরা যদি দল করার অধিকার পায় তবে সত্যিকার অর্থের ধর্মভিওিক রাজনৈতিক দল গুলো কেন নয়। জামায়িতি ইসলামি তার অপরাধের দায় এড়াতে পারেনা ধর্মের দোহাই দিয়ে কিছু অপরাধী নিজেদের মুক্ত করার জন্য ধর্মের প্রয়োগ করবে তা মেনে নেওয়া যায়না। যদি ট্রাইবুনালে সঠিক বিচার না পাওয়া যায় তবে জামায়াতের উচিত উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট পযর্ন্ত অপেক্ষা করা কিন্তু সন্ত্রাস কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। যারা নতুন প্রজম্মের তারা সত্যিকার অর্থের ধর্ম ভিওিক দল কে বেছে নেওয়া উচিত।

। । ধর্মের অপ-প্রয়োগ। । ধর্মকে ভিওি করে যারা রাজনীতি করে তারা ভূল পথে ধাবিত হলে তার দায় ইসলামের নয় বরং কর্মীদের এই ব্যাপারে সজাগ হওয়া উচিত।

জামায়াত যদি আওয়ামীলিগকে প্রগতিশীল ভাবে তবে বি এন পি কতটুকু ধর্মভিওিক দল যে অন্যন্য ধর্মভিওিক দল গুলোকে এলোমেলো রেখে শুধু মাএ ক্ষমতাকে আপন করে পাবার জন্য জোট গঠন করে। নারী নেতৃত্ব হারাম বলে আবার নারীর আচল ধরে ক্ষমতায় আসে। পাচ বছর ক্ষমতায় থেকে ইসলামের কি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে জামায়াত। স্বার্থ আছে উপরের মাথা ওয়ালাদের কিন্তু মাঠ পযায়ে কর্মীরা শুধুই ধর্মকে আপন করে জীবন উৎসর্গ করে তাতে ধর্মের উপকার হোক বা না হোক ক্ষমতার স্বাদ কিন্তু পায় নিজামী বা মুজাহিদরা । জামায়াতের বিভিন্ন মিডিয়া গুলো ইসলাম প্রচারের চাইতে তাদের দলীয় স্বার্থ প্রচারে ব্যস্ত ।

ধর্মীয় চ্যানেল বললেও সেখানে থাকে অশ্লীল বিজ্ঞাপনের বাহার যা ইসলামের সাথে বেইমানী করার সামিল । অর্থ না থাকলে চ্যানেল চালানোর প্রয়োজন কি? যেখানে অশ্লীলতাকে ধর্মীয় চ্যানেলের নামে লাই দেওয়া হয় তা গ্রহনযোগ্য হয় না ধর্মের বিচারে। তাই ধর্মের প্রচার প্রসারে সত্যিকার ইসলামের পথে চলা উচিত সকল মুসলমানের আর সহনশীল আচরণ দেখানো উচিত সকলের প্রতি সকলের । কর্মীরা সচেতন হলে ধর্ম গুরুরা অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পায়না, আধুনিক ধর্মভিওিক শিক্ষার অভাব মানুষকে ধর্মান্ধ করে ফেলে তাই ধর্মীয় শিক্ষা হতে হবে আধুনিক কোরআন ও সুন্না ভিওিক। ধর্ম ভিওিক দল হতে হবে গনতন্ত্রমনা, না হলে এই দেশ হবে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ইরান ধর্ম,বিজ্ঞান আর গনতন্তের চর্চা করে বলেই তারা এখনো সার্থক দেশ হিসাবে টিকে আছে অন্যে দিকে সেীদি আরব ধর্মের চর্চা করে ঠিক কিন্তু বিজ্ঞান আর গনতন্তের অভাবে সেখানে বাসা বেধেছে আমেরিকার ভূত। আমার এই মতামত শুধুই আমার নিজস্ব চিন্তা হয়তো ভিন্ন মত ও থাকতে পারে কিন্তু যদি যুক্তি হয় ধারালো তবে তা সাদরে গ্রহনযোগ্য, হত্য-খুন আর রাহাজানি দিয়ে মতামত প্রতিষ্ঠা করা যায় না তবে হে, এই বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.