.
বৃত্তের ব্যসার্ধ বাড়ছেই। গল্পগুলোর ব্যাপারে তালগোল পাকিয়ে ফেলি। কোন জিনিসটা কোন ড্রয়ারে রেখেছি আমি নিজেই ভুলে যাই। তুমি কি এই তালার চাবি, তুমি কি এই কলমের কালি? ঝরাপাতাগুলো উড়তেই থাকে মৃদু বাতাসে। আমি কোনো উত্তর পাই না।
যখন বৃষ্টি ঝরে জানলাগুলোতে হামলে পড়ে, তখন ছাদের বিশাল ছাতাটা একলা ভিজে কাঁদতে থাকে। ওখানে অনেকগুলো বিকেল থাকার কথা ছিল ডানা গুটিয়ে। অনেকগুলো পেলব কমলা আলো বিকেল। নরম তুলতুলে রোদ। কিন্তু পাখিগুলো ইদানীং সংসারী হয়েছে যেন।
আর, পাশের, ঐ দূরের বিল্ডিংটার ছাদের পানির ট্যাংকিতেও ময়লা জমে না অনেকদিন। শেওলাও না। তখন মন্দিরের শঙ্খ আমাদের অন্ধ করে দেয়। আমরা খুব জোরে জোরে ঘণ্টি বাজাতে থাকি। একটানা।
অনেকক্ষণ।
তুলসীপাতার জলের ছিটা আমাদের গায়ের উপর নাক কুঁচকে বসে থাকে। আমরা ওদের দিকে তাকিয়ে প্রচণ্ড জোরে হেসে উঠি। ধূপদানী থেকে ধোঁয়া উড়তে থাকে সুগন্ধকে পিঠে করে। সন্ধ্যের আলো তখন ঝিমাতে ঝিমাতে প্রায় ঘুমিয়েই পড়ে।
****************
হাঁটতে হাঁটতে আমার ক্লান্ত লাগে। ভীষণ ক্লান্ত। নিজেকে আমার খুব স্বাভাবিক মনে হয়। হেরে যাওয়া কেউ মনে হয় না। কেবল হাঁটার গতিটা কমে আসে খুব।
স্যান্ডেলটাকে খুব ভারী মনে হয়। রাস্তা পেরোনোর সময় সব্জি বাজারের কূপির আলো, এবং ধোঁয়া, আমি কিচ্ছু দেখি না। থালার সামনে শুয়ে থাকা মাছের লাশগুলোকেও না। বামহাতে লুঙ্গি তুলে নির্লজ্জ দর কষাকষিগুলোও না। কেবল কিছু বৃষ্টি ফোঁটা দেখি চোখের সামনে।
চশমার কাচ জুড়ে ছোট ছোট কিছু বিন্দু। অথচ সামনের পৃথিবীটাকে কী অনায়াসেই ঘোলা করে দেয়!
****************
বাসায় হয়ত স্নান করার জল নেই। কিংবা আমার হয়ত ইচ্ছে থাকবে না। ঘামে ভেজা নোংরা টিশার্টটাকে ঝুলিয়ে রাখব হয়ত আরো অনেকদিন। কিন্তু আমার ভীষণ ক্লান্ত লাগে।
স্যান্ডেলটাকে খুব ভারী লাগে। রাতটাকে অনেক কালো লাগে। অনেক দীর্ঘ।
বাসায় ফিরেই ক্লান্ত আমি হয়ত সটান শুয়ে পড়ব মেঝের উপর। অনেক কাজ বাকি।
অসমাপ্ত। অগোছালো। অথচ আমি ঘুমিয়ে পড়ব। একটা রাত কেটে গেলে হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে। সকাল হলে হয়ত দাঁড়াতে পারব মুখোমুখি...
আয়নার সামনে...
হয়ত না...
আমি জানি না...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।