ইসলামে আছে, তোমার ডানে, বামে, সামনে পেছনে চল্লিশ বাড়ী পর্যন্ত যারা থাকে তারা তোমার প্রতিবেশী।
আমার ব্লগেও আমি আশেপাশে চল্লিশটা নিককে আমার প্রতিবেশি ধরার কথা বিবেচনা করতাম। কিন্তু একটা সময় দেখলাম আমার প্রতিবেশি মর্যাদা পাওয়া এবং আমার কাছ থেকে নিজেদের হক আদায়ের জন্য তারা একাধীক নিক নিয়ে বসে আছে। তাই খুব কাছে তাকে যারা, তাদেরকেই প্রতিবেশি বিবেচনা শুরু করলাম। আমি আমার নিজেকে দেখতে গেলেই যাদের চোখে পড়ে।
আমার প্রথম প্রতিবেশী হিসেবে সনাক্ত করেছিলাম নকীবুল বারীকে। এ লোক দেখি সারাদিন আমার আশেপাশেই থাকে। চিন্তা করতাম ব্যাটার কোনো বদমতলব আছে নাকি? আমার কোনো ড্রাফট পোষ্ট হাতিয়ে নেয়ার চিন্তা নিশ্চয় থাকতে পারে। পরে দেখলাম, না সে ব্লগে আমার প্রতিবেশিই। যে লোক অলটাইম টাইম ছাতি অখবা লাঠি নিয়ে রাগী অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
তারপর একটা বিশাল সময় ধরে নিজের ঘর তুলে প্রতিবেশী হলেন আর্কিটেক্চার সাহেব মনির হাসান সাহেব। খুবই জেন্টলম্যান টাইপের ভদ্রলোক। চিন্তা করলাম থাকুক না। আগের চেয়ে চেহারায় পরিবর্তন এনেছেন। দিনদিন গ্ল্যামার বাড়াচ্ছেন আর কী? একজন হিমালয় থাকেন পাশে।
হিমালয় সাহেবের কথা আর কী বলবো, সবসময় দেখি দুই কাপ একসাথে নিয়ে চা পান করে যাচ্ছেন। পাশে যে একজন ভদ্রলোক থাকেন তাকে একদিনও জিজ্ঞাসা করেননা, চা খাবে কি না? থাক কী আর করা? আমার বাসায় কী আর চা নাই?
তারপর দেখতাম, ব্লগের এই পাহাড়ী ভূমিতে নিচের দিকে থাকেন একজন বিদেশীনী চেহারার এবং বিদেশী নামরে আরিয়ানা ম্যাডাম। তার আগে একটা কাটুর্ন চেহারা নিয়ে ক, খ, গ সাহেব। চুপচাপ থাকেন। পাশে দেখি এক নিষ্পাপ শিশু।
ভাবি, আহা বেচারা এই বয়স থেকেই ব্যাচেলর জীবন। খোজ নেই, এবং হতাশ হই। সে ছোটো কেউ তো না-ই, উল্টো একজন ফালতু মিয়া। যদিও বাস্তবে না। তার লেখা পড়ে ভালো লাগে।
তার আশেপাশে আরো অনেকেই থাকেন। থাকেন অনেক ব্লগীয় ষ্টাররাও। এদের একজন, ব্লগের অপ্সরা। ব্লগে কেউ ঠিকানা চাইলে আমি তার কথা বলে দেই। তিনি যেকানে থাকেন আমি তার অল্প নিচেই থাকি।
থাকেন কার্টুন চরিত্র জেরীও। তবে আমি আমার প্রতিবেশী হিসেবে, সবচেয়ে আতঙ্কিত থাকি একজনকে নিয়ে ওনার নাম, রাহাত খান। অলটাইম স্যান্ডেল পড়ে চলা লোক। প্রায় মাথার উপরে স্যান্ডেল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। বলি, ভাই লাগলো তো।
কিন্তু কে শোনে কার কথা।
যাই হোক, এদের নিয়েই আমার ব্লগের জীবন। আশেপাশে অনেকেই আরো আছেন। কেউ কেই চলে গেছেন। কেউ বেড়াতে বালোবাসেন অনেকদিন পরপর আসেন।
তাই ভালোভাবে পরিচয়ও হয়নি।
যদি এই লেখাটা পড়েন একটু পরিচয় দিয়েন প্লিজ। একসাথে তাকি চেনা জানা থাকা ভালো।
কখন কার প্রয়োজন পড়ে যায়! ব্লগের অবস্থাও যা হঠাৎ হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে যায়। এলাকাবাসী এক থাকলে একসাথে একটা কিছু করে বেঁচে থাকা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।