কেবলই নিজেকে খুঁজছি
তুমি কেবল আঁজলা ভরে দাও না, তুমি শুধুই খোঁপা ভেঙে দাও না, তুমি বুক উপুড় করে দাও। উরুসন্ধির নিসর্গে নির্নিমেষ ডোবাও। পেরিয়ে এসেছি তোমার জঙ্ঘার চড়াই- কত যে গিরি-খাদ, ঝোপ-ঝাড়, তৃণ, লতাগুল্ম। ভেঙেছি পাথর-কাঁকর, অবিশ্রান্ত।
তুমি উপুর করে দিলে।
উরুর অর্গল খুলে দিলে। আপ্লুত আমি ছেড়ে দিলাম আমাকে-তোমাতে। তুমি ঘাম-কাদা ধুয়ে দিলে, আলগোছে শীতল পরশে ক্লান্তি শুষে নিলে।
আমি আকন্ঠ তোমাকে পান করলাম। তুমি কানে কানে কত কি যে বলে গেলে! রাগ-রাগিনী গাইলে।
তোমার সুরের মীড়ের মোহিত হয়ে থাকলাম সারাটি বিকেল উরুতে মাথা রেখে।
বর্ষা এলে, বৃষ্টি হলেই তোমার সুরের মীড় ভেসে আসে কানে। বুকের ভেতরে বাজে ওস্তাদ জাকির হোসেনের ‘স্যান্ড্-স্টর্ম্’। আমি আচ্ছন্ন হই। হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁই।
তোমাকে দেখতে পাই-বুকের, উরুর সবুজ আবরণ খুলে, খোঁপার গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘমালা দক্ষিণের বাতাসে উড়িয়ে, তুমি হাতছানি দিয়ে আমাকে ডাকছো-জাদিপাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।