আশা নাই তাই মশারির ভেতর মশা ও নাই।
জনৈক সাংবাদিকের সাথে ঢাকার এক অভিগ্গ মাইক্রোফোনের সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো (কাল্পনীক)।
জনৈক সাংবাদিক- কেমন আছেন কেমন চলছে দিনকাল?
মাইক্রোফোন- ভালো না।
জনৈক সাংবাদিক- কেন? কোনও সমস্যা?
মাইক্রোফোন- আরে ভাই আমার কামই ত সমস্যার।
জনৈক সাংবাদিক- একটু বুঝিয়ে বলবেন?
মাইক্রোফোন- সারাদিন যোদি মানুষ আপনের উপর ছেপ মানে থু থু দে কেমন লাগে কন ত? ছেপএর পুকুরে সাতার কাটি সারা দিন আবার জিগায় কোনও সমস্যা আছে কি না।
আপনারে সাংবাদিক কেঠায় বানাইছে। অবশ্য ঠিকই আছে ইমুন না হইলে আইজ কাইল সাংবাদিক হওন যায় না।
জনৈক সাংবাদিক- বুঝলাম না। যদি আবার একটু.....
মাইক্রোফোন- এই হালায় ত দেখি কিছুই বুঝে না। তুই এক কাম কর সাংবাদিকতা ছাইড়া দেখ স্বরাস্ট্র বা পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় এর দায়িত্য পাছ কি না।
তরেই দরকার। ও তুই ত আবার লেডিচ না। লেডিচ লাগব। আমরা ডিজিটাল হইতাছি না।
জনৈক সাংবাদিক- আপনি ত রাজনিতিবিদ দের মত কথা বলছেন।
সব কথা বলেন আসল কথা বলেন না।
মাইক্রোফোন- হেইডা মনে কর যে আমার উঠা বসা বেশি হেগো লগে ত তাই একটু ইমপিসন বোঝস না? পরভাব।
জনৈক সাংবাদিক- অন্য প্রসংগে আসি, আপনার কর্মময় জীবনে একটা মজার ঘটনা বলুন।
মাইক্রোফোন- মমম অনেকই ত আছে ইদানিং কালের একটা বলি। বরাবর এর মত ভু্যা মিটিং চলতাছে।
এমন সময় হঠাৎ বক্তার পাজামা গেলো খুইল্লা। এখন ত বক্তা পুরা ফাপরে, চাপা মারবো না পাজামা ধরব। জনগন কিসুই দেখে নাই ত্য় ঘটনা ত আমার সামনে.....
জনৈক সাংবাদিক- ওআও ....... কেমন....?..... ইয়ে মানে কিভাবে ঘটল ঘটনা?
মাইক্রোফোন- আরে ঐ নেতা বাসায় নাকি কিসুই পরে না শুনছি সবসময় লোড থাকে ত তাই। আর পাবলিক রে উল্টা পাল্টা বুঝাইতে হইলে লোড থাকতেই হয়। এইগুলান শুস্থ মানসের কাম না।
জনৈক সাংবাদিক- আপনাকে সব চেয়ে বিরক্ত করে কোন জিনিষ?
মাইক্রোফোন- বিরক্তির মাঝেই ত আমার কাম বুঝস না? তয় একটা লোক ইদানিং খুব বিরক্তি করতাছে, এরে যদি জনগন একটা শক্ত মাইর দিত শান্তি পাইতাম। হালায় এত কথা কয় কেমনে বুঝি না। আমার ত কান ঝালাপালা। ওরে বাইন্ধা রাখতে পারে না?
জনৈক সাংবাদিক- খবর শুনেছেন? বানিজ্য মন্ত্রি বলেছেন......
মাইক্রোফোন- বাস, ঐ আবার শুরু.... দেখছছ?
জনৈক সাংবাদিক- ওদের ( রাজাকার)কথা কিছু বলবেন না?
মাইক্রোফোন- ওদের মুখে গন্ধ।
জনৈক সাংবাদিক- আপনার সুখের সৃতি?
মাইক্রোফোন- ৭ই মার্চ ১৯৭১।
জনৈক সাংবাদিক- দু:খ লাগে কখন?
মাইক্রোফোন- ৭ই মার্চ রেসকোর্স বংগবন্ধুর সামনে, আর কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার সামনে, উভয় ক্ষেত্রে আমি উপস্থিত আছিলাম। এক আদর্শে একই বাংলাদেশের সাধীনতার লাইগা এক হইছিলেন দুইজনে। একজনের নির্দেশে আরেকজন ঝাপাইয়া পড়ছিলেন যুদ্ধে। অথচ এই দুইজন এর উত্তরসুরি দাবি কইরা কিছু লোক আবার তাগরেই বিক্রি করার জন্য বাজারে তুলছে। এই দুই শহিদ রে বেইচা যা পায় তাই দিয়া সংসার চালায়, খায়।
জনৈক সাংবাদিক- জাতীর উদ্দেশ্যে কিছু ...
মাইক্রোফোন- তগরে আর কি কমু? অনেকেই ত অনেক কিছু কইছে, কোনও কাম হইছে? হইব ও না। তার পর ও বলি আমার সামনে আইসা তরা যে অভিনয় করছ, ঐটা বাদ দে। মাথা থাইকা ত অনেক চিন্তা করছস এইবার মনডারে একটু ব্যাবহার কর। ইতিহাস কয় তরা পারবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।