বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
ভাইসব! ভাইসব!! অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাইতেছে যে বিশিষ্ট ব্লগার জনাব 'মফিজ' অদ্য বিকাল ৩ ঘটিকায় ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না...............। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হইয়াছিলো ৪২ বছর। তিনি বিধবা স্ত্রী, একপুত্র, দুই কন্যা এবং আরো যে সমস্ত জিনিস দুনিয়াতে রাখিয়া গিয়াছেন তাহা হইলো-
!
!
!
!
!
!
সামহোয়ারইন এ চারটি ব্লগ (একটা স্বনামে, আর বাকীগুলা বিপদে কাজে লাগার জন্য)
আলু ব্লগে দু্টি ব্লগ
তিনটা ফেসবুক একাউন্ট (নিজ নামে একটা আর বাকীগুলা মেয়েদের সাথে 'টাল্টি-বাল্টি' করার জন্য)
ব্লগস্পটে একটা ব্লগ (এডসেন্স থেকে নিয়মিত 'মালপানি' আসে)
ওয়ার্ডপ্রেসে একটা ব্লগ (ব্যক্তিগত ক্যাচাল লিখে রাখা হয়)
ফ্লিকারে একটা একাউন্ট (ছবি তুলে জমা রাখা হয়)
টুইটারে দুইটা একাউন্ট (একটা সবসময় আর একটা 'বিশেষ প্রয়োজনে' ব্যবহার করা হয়)
ইয়াহুতে সাতটা মেইল একাউন্ট (গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে খোলা হয়েছে)
জিমেইল সহ অন্যান্য ফ্রি মেইল গুলাতে আরো অন্তত: ২৫/৩০ খানা মেইল একাউন্ট
উপরের শোক সংবাদ অতি অবশ্যই কাল্পনিক কিন্তু বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবার অবকাশ আছে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় আমরা নিজেদের অস্তিত্বের অসংখ্য প্রমাণ রেখে যাচ্ছি।
হঠাৎ করে মরে গেলে বা দূর্ঘটনায় পড়লে এই অস্তিত্বগুলো কি হবে তা কি চিন্তা করে দেখেছি কখনো? হ্যাঁ, খুব সহজ সরল ভাবে চিন্তা করলে এভাবে ভাবা যায় 'আমিই যখন নাই তখন এগুলা থাকলেই কি আর না থাকলেই কি?' চিন্তাটা একেবারে খারাপ না কিন্তু তারপরও কথা থাকে। ইন্টারনেটে আপনার এসমস্ত চিহ্নের মাধ্যমে আপনার সাথে সম্পর্ক হচ্ছে কত শত মানুষের। আপনার কিছু একটা হলে তাদের সামান্য হলেও অধিকার আছে এ ব্যাপারে জানার। কিংবা খোদা না করুন আপনি যদি খুন বা অপহরণ হয়ে যান তাহলে নেটে আপনার এসব চিহ্ন ঘেটে পুলিশ বা আপনার কোন শুভাকাংখী বের করতে পারে মূল্যবান ক্লু।
এনিওয়ে, আসলে যেটা বলতে চাচ্ছি আমাদের অন্তর্জালিক অস্তিত্বগুলোর একটা ব্যাক আপ রাখা প্রয়োজন।
যেমন ধরুন, সামুতে আপনি ব্লগিং করেন ছদ্মনামে। অন্তুত: একজনকে হলেও জানিয়ে রাখুন এটা। ক'দিন আগে ব্লগার দূর্ভাষী অসুস্থ ছিলেন, উনার স্ত্রী এসে ব্লগারদের আপডেট দিয়েছেন। ওয়েবসাইট গুলোর ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তাঁরাও নাকি এগুলো নিয়ে এখন ভাবছেন। উপযুক্ত প্রমাণ দেখানোর পর মৃত ব্যক্তির আপনজনদের তার মেইল দেখার অনুমতি দিচ্ছে গুগল।
মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পর এ নিয়ে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম।
মজার ব্যাপার হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির এই বিশাল মহাসড়কে ঠিক কত জায়গায় যে আমরা নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করে এসেছি তার খোঁজ হয়ত আমরা নিজেরাই জানিনা। (যেমন আমি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।