বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই রোড টু ফাইনালের প্রথম খেলাটি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের তালিকায় ঢুকে যাবে। গেইলকে সহস্র মাইল দূর থেকে আনাটা সার্থক হয়েছে সম্পূর্ণ ভাবে।
সেরা ফর্মে থাকা গেইল তার ফর্ম হারিয়েছিলেন আমাদের বাংলাদেশে এসে। মাঝখানে কয়েকটা মাস ফর্ম ফিরে পেতে অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোন ভাবেই কিছু হচ্ছিল না। সেই গেইল আবার তার ফর্ম ফিরে পেয়েছেন বিপিএল খেলতে এসে।
মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশ গেইলের খেলা বিপিএলের জন্য এতদিন স্থগিত রেখেছিল।
খেলার শুরুতে পাঁচটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল ম্যাচটি একতরফা ভাবে সিলেট জিতে যাবে। কিন্তু ফর্মহীন গেইলের কথা কারো মনে ছিল না। কারণ ১৩ ওভার পর্যন্ত গেইল ২৮ বলে করেছিলেন ২৬ রান। রানের জন্য সত্যিই তিনি সংগ্রাম করছিলেন।
১৪ তম ওভার থেকেই শুরু হল গেইলের তাণ্ডব। পরের ৩০ বলে করলেন ৭৪ রান। গেইলের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৪ রান। যার জন্য তার লেগেছে ৫১ বল। ঢাকা ২০ ওভারে করেছিল ১৯৭ রান।
ঢাকার আরও রান পেয়েছেন সাকিব ও পোলারড। ঢাকা শেষ ১০ ওভারে তুলেছে ১২৯ রান।
সিলেটের প্রথম দিকের ব্যাটিং দেখে মনে হয় নি যে, ম্যাচটি তারা ঢাকার হাত থেকে বের করে আনতে পারবে। কিন্তু স্মিথ ও মুশফিকের ৮২ রানের জুটি দেখে সিলেটের সমর্থকেরা জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান এবং বোলিংয়ে ছিলেন মাশরাফি।
স্ট্রাইকে থাকা চিগুম্বুরা প্রথম ২ বলে ২ ছক্কা মেরে দেন। পরের বলে ১ রান নেওয়াতে স্ট্রাইকে আসেন সিলেটের হাইস্ট রান সংগ্রাহক মুশফিক। ৩ বলে প্রয়োজন ১১ রান। মনে হচ্ছিল মুশফিক খুব সহজে ম্যাচটা বের করে আনবেন। কিন্তু পারেন নি, একবার লাইফ পেয়েও।
তবে মুশফিকের আত্নত্যাগ অনেকের মত আমাকেও গর্বিত করেছে। কারণ চিগুম্বুরার রানআউট মুশফিক নিজে হয়েছেন দলকে জেতানোর জন্য। সাবাশ! মুশফিক
শেষ বলে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ৫ রান এবং স্ট্রাইকে চিগুম্বুরা থাকাতে মনে হচ্ছিল তা সম্ভব। কিন্তু মাশরাফির চমৎকার ডেলিভারিতেচিগুম্বুরা আউট। ঢাকার কাছে সিলেট হেরে গেল ৪ রানে।
গেইলের ঝড়ে ঢাকা জয় পেয়েছে আর মুশফিকের ৪৪ বলে ৮৬ রান সিলেটকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। শেষ বলে যে খেলার নিষ্পত্তি হয় তাকে রোমাঞ্চকর ম্যাচ না বলে কি আর উপায় আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।