এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
আমরা ভ্রমণ বাংলাদেশ এর সদস্যরা সারা বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর দিয়ে থাকি, এবার ৩৪ জন সদস্য নিয়ে আমার ট্যুর ছিল হামহামে.....
আমাদের দেশের নয়ানাভিরাম পর্যটন ক্ষেত্রের নতুন আবিস্কৃত রোমাঞ্চকর জলপ্রপাত হল 'হামহাম' জলপ্রপাত ।
এ জলপ্রপাতটি মৌলভী বাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা সংরক্ষিত বনের গহীনে ত্রিপুরা সিমান্ত ঘেষে অবস্থিত । পাহাড়ী অধিবাসীরা পানি পতনের স্রোতধ্বনিকে 'হামহাম' বলে । তাই এই জলপ্রপাতটি 'হামহাম' নামে পরিচিত । দূর্গম পাহাড়ের ভেতর 'হামহাম' জলপ্রপাতের চারদিকে গাছ-গাছালি ও প্রকৃতিক বাঁশবনে ভরপুর আর ডলু, মুলি, মিরতিঙ্গা, কালি ইত্যাদি অদ্ভুত নামের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশবাগান পর্যটকদের দেয় বাড়তি আনন্দ । চলুন তাহলে যাওয়া যাক হামহামে........
আমাদের যাত্রা শুরু হলো........... বৃষ্টি থাকায় এমন পিচ্ছিল গাছের উপর দিয়ে হাটা ছিল খুবই ঝুকিপূর্ণ, হাতে লাঠি থাকায় ঝুকিটা কমেছিল ।
এমন পানি আর কাঁদা তো ছিল অতি স্বাভাবিক...........
পায়ের নীচে হাটু সমান কাঁদা আর চতুর্দিকে বেত কাটার জঙ্গল, তার মাঝখানে অনেকটা সুরঙ্গ আকৃতির পথ............
সেই সাথে কাঁদাময় এমন চড়াই উৎরাই..........
আর অসম্ভব রকমের সবুজের কথাটা নাই বা বললাম ।
এটা চিনতে আশা করি কারো কষ্ট হবার কথা নয়, হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন চিনা জোঁক,,,,,,,,,,,,,, এই অপরূপ সবুজের ভেতর ওরা রয়েছে পর্যপ্ত পরিমানে । হামহামে যাবেন চিনে জোঁকের কামড় না খেয়ে ফিরে আসবেন এমনটা দূর্লভ । সুতরাং...........
পিচ্ছিল এমন ঝুকিপূর্ণ গাছের সাঁকো পারি দিতে হবে অনেক ।
এই পাতার গাছ থেকে সাবধানে না থাকলে চুলকানির জন্য লোক ভাড়া করতে হবে, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বললাম
দীর্ঘ একটা সময় এমন পানি দিয়ে হাটতে হবে, কখনো বা হাটু পানি কখনো কোমড় পানি ।
দৃষ্টি নন্দন এমন সুরঙ্গ পথ আপনার পথের ক্লান্তি দূর করে দেবে.......
এমন ঝুকিপূর্ণ পথে বাঁশের লাঠি ছাড়া কোন উপায় নেই !!
ধেয়ে আসা হামহামের পানিতে একটু গড়াগড়ি, কিছুটা ক্লান্তির অবসান.........ঝর্ণা এখনো বহু দূরে,,,,,,,,,,,,,
এমন ফড়িংগুলো কি শুধু ঝর্ণার কাছেই থাকে ! এর আগে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর ধারের ঝর্ণার পানির ধারে ও আমি এই ফড়িং দেখেছি,,,,,,,,,,,,,,, অথচ আর কোথাও আমি ওদের দেখা পাইনি ।
চলবে.............................
[img|] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।