আমরা যখন ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি তখন স্বপ্নগুলোও দিন দিন বড় হতে থাকে। দিন ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে জীবন। একসময় বাড়ন্ত বয়স চলে আসে প্রত্যেক ছেলে-মেয়ের জীবনে। তখন তাদের চোখে নেমে আসে রঙিন স্বপ্ন। এই সময়টা যদি সঠিক ভাবে প্রত্যেক অভিভাবক তার ছেলেমেয়েকে যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন ও খোজ খবর না রাখে, তাহলে তাদের উপর নেমে আসতে পারে দুঃখের সীমাহীন কাব্য।
এই বয়স টা হলো বাড়ন্ত বয়স প্রত্যেক ছেলে মেয়ের কাছে দৈহিক চাহিদার চিন্তা ভাবনা বেশি করে নেমে আসে। এই টিনএজ-রা তখন বিভিন্ন পথ খুজে তারা কিভাবে তাদের চাহিদা পরিপূর্ণ করবে, কিভাবে দৈহিক চাহিদার বিষয়ে জানতে পারবে।
আর তখনই অধিকাংশ শহরের কালচারার ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন পন্ন্য গ্রাফী দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। সেই সাথে তারা বেছে নেয় এই অন্যায়, পাপের পথ। এই বয়সে তারা এতবেশি বোজে না যে এটা করলে ক্ষতি কি হতে পারে।
অনেক সময় এই বয়সের টিনএজ রা পারস্পরিক সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে যায়। তারা জীবনকে উপভোগ করতে চায়। আস্তে আস্তে তারা ধ্বংসের মুখে চলে যায। আর কাজটি বলা যায় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার অভিভাকক, বাবা-মা র গাইডনেজ, মুল্যায়ন না করার ফলে। অবশ্য আমাদের শহরের তুলনায় গ্রামের টিনএজরা এতবেশী সুযোগ সুবিধা পায় না তাই তারা বেশি আক্রান্ত হয়।
কিন্তু যারা পায় তারাও বেপরোয়া হয়ে যায়।
আমি আমার এক সাংবাদিক ভাই-র বক্তব্য শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, কথাটা হলো, তিনি একসময় শহরের টিনএজ-দের নিয়ে একটি জরিপ করেছিলেন। সেটা হলো বিশেষ করে হাই স্টাটাস ফ্যামিলির ছেলে মেয়েরা, যাদের বাবা, মা কোন খোজ খবর নেননা তাদের মধ্যে এই বয়সের মেয়েরা তার বাবা মার কাছ থেকে মাসে যে হাত খরচ পায় সেটা বয়ফ্রেন্ড নিয়ে রেস্টুরেন্ট, সিনেমা দেখতে শেষ হয়ে যায় আর তখন তাদের অধিকাংশ এই বয়ফ্রেন্ড দের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে বিনিময়ে টাকা নেয় এবং বাকী দিনগুলো আনন্দ ফুর্তি করে বেড়ায়।
তারা কিন্তু আনন্দ আর মোহে কারণে এই কাজটি করছে। আবার দেখবেন যখন এই বয়সটা পার হয়ে যায় তখন কিন্তু তারা খুব আফসেড হয়ে পড়ে।
নিজেদেরকে খুব খারাপ মনে করে। নিজেদের তখন বোজাতে পারে না। আর তখন তারা জীবনের প্রতি মায়া মমতা কমিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে।
আজ আমাদের শহরের কিছু কিছু হাই স্টাটাস ফ্যামিলির সন্তানেরা নিজেদের ছেলেদের সাথে মিল করে চলার চেষ্টা করে, সার্ট প্যান্ট পরে বেড়ায়। কিন্তু সে চিন্তা করে না এটা নারীর সৌন্দর্য রক্ষা পায় না।
নারীকে নারীর পোশাকে যে মাধুর্য সৃষ্টি করতে পারে সার্ট প্যান্ট পরে সেটা পারে না। বরং দুষ্ট বয়ফ্রেন্ডদের তাদের অসামাজিক কাজের জন্য ইস্প্রিহা বাড়িয়ে দেয়। ফলে একজন নারী আনন্দের বা মোহের মধ্যে হলেও তার সতিত্য হারিয়ে ফেলে।
তাই আমি বলব প্রত্যেক বাবা-মা, অভিভাবককে নিজের সন্তানের উপর সকল বিষয়ে ডিসকার্স করা প্রয়োজন। এতে করে তারা জীবন সম্পর্কে ভাবতে শিখবে, নিজেকে জানবে।
তারা এই অসামাজিক কার্যাকলাপ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করবে।
নারী সবকাজে অংশগ্রহণ করুক এটা আমি চাই তবে সেটা নারীর নিজস্ব যে সৌন্দর্য আছে সেটা হরণ করে নয়। নারীকে নারী হিসাবে আসতে হবে। তাহলে তার অস্তিত্ব কখনও সমালোচনার মধ্যে আসবে না। নারী হলো সকল সময় ভালবাসার বর্হিপ্রকাশ।
প্রতিটি লেখক, কবি, সাহিত্যিক কিন্তু নারীকে নিয়েই তার চর্চা করেছেন অধিকাংশ। আমরাও নারীর মাধ্যমে পৃথিবীতে আগমন করেছি বিধাতার সৃষ্টিকূল হিসাবে।
তাই বলতে চাই পূর্ণতা কখনো অপূর্ণ হয়ে যেন টিনএজ-রা ধ্বংসের মুখে না চলে যায়। তার দায়-দায়িত্ব অভিভাবককে নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।