আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শারমিন সুলতানা লিলি'র মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন এবং একটি প্রতিবাদ

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব

অনেক দিন লেখালেখি করি না। শুধু বিভিন্ন পোস্ট পড়ে যাই এবং মন্তব্য করে যাই। কিন্তু আজ লিখতে বসলাম। শারমিন সুলতানা লিলি নামক ব্লগার একটি পোস্ট দিয়েছেন ঢাবির বঙ্গবন্ধু হল থেকে গভীর রাতে গার্ল ফ্রেন্ড সহ ছাত্রলীগ কর্মী উদ্ধার। অনেকে সেই সংবাদ বিশ্বাস করে কমেন্টও দিয়েছেন।

যাই হোক, আসল ঘটনা এবার বলা যাক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের যে ছাত্রটিকে নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সেই ছেলেটি আমারি ডিপার্টমেন্টের অর্থাৎ আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সঙ্গত কারণেই আমি তার নামটি উল্লেখ করছি না। ছেলেটি থাকে বঙ্গবন্ধু হলের ২১১ নম্বর রুমে। মোট ছয়জন ঐ রুমে একসাথে থাকে।

ছেলেটি জ্বর, কাশি ও সর্দিতে ভুগছে। ১০৪ ডিগ্রি জ্বর। গতকাল রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সারা রাত সেখানে অবস্থান করে। সকাল বেলা হলে ফিরে আসে। দুপুরের দিকে তাকে দেখতে তার বান্ধবী (বা গার্লফ্রেন্ড, যাই বলেন) আসে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল, মেয়েটি যে কোনভাবেই হোক তার রুমে চলে যায়! অথচ ছেলেদের হলে মেয়েরা সর্বোচ্চ গেস্টরুম পর্যন্ত যেতে পারে। যাই হোক, মেয়েটি রুমে চলে আসায় অন্যান্য ছাত্ররা বিষয়টি লক্ষ্য করে এবং তাৎক্ষণিক তারা হল প্রোভোস্টকে অবহিত করে। হল প্রোভোস্ট দুপুর পৌনে একটার দিকে এসে মেয়েটিকে নিয়ে যায় এবং আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অথচ, ছেলেটি এখনো তার রুমে অবস্থান করছে। এবং বর্তমান সময়ের প্রচলন অনুযায়ী, ছেলেটি স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত! তা না হলে তো হলে অবস্থান করতে পারার প্রশ্নই আসে না।

এই হল সমস্ত ঘটনা! অথচ, লেখক সেটাকে রঙচঙ মেখে নিজের মত করে বিকৃত করে লিখলেন! ছেলেটি তো রাত্রে তার হলেই ছিল না। অথচ, লেখিকা লিখেছেন, গভীর রাত্রের ঘটনা! ছেলেটি যে রুমে থাকে, সেটিতে মোট ৬ জন ছাত্র অবস্থান করে। সেখানে কি করে একটি ছেলে-মেয়ে আপত্তিকর কার্যকলাপ করতে পারে, তা আমার বোধগোম্য নয়। রুমটি যদি ডাবল বেডের হত, তাহলেও না হয় বিশ্বাস করার একটি যু্ক্তি থাকত। আশা করি, পাঠকরা এবার বুঝতে পারছেন লেখকের উদ্দেশ্য।

পুনশ্চ: দু;খিত; রুম নম্বর ২০৯ হবে, ২১১ নয়! শারমিন সুলতানা লিলি'র পরবর্তী পোস্টে দেখলাম, 'লেনিন' নামটি লেখা হয়েছে। লেনিন হল এই অসুস্থ ছেলেটির বন্ধু, যার কথা আমি লিখেছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.