আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীলাকাশের শূণ্যতা (১৩)



হাসান কে মেইল টা সেন্ড করে মোহনার মন টা খারপ হয়ে গেল। কিছু ভাল লাগছে না, কাজে মন বসছে না। সব কিছু এলমেল লাগছে। কেন এমন হল? না, মোহনাকে শক্ত হতে হবে। তার নিজের জন্য না, হাসানের জন্য।

হাসান কে বুঝাতে হবে, ও যা করছে তার সবই পাগলামি। ল্যাবে কাজ করছে মোহনা, আর সব এলোমেলো চিন্তা মাথা জুড়ে। এর মাঝে সুপারভাইজার ডাকল, দেখা করতে হবে। মোহনা মোবাইল টা ল্যাবে রেখেই দেখা করতে গেল। ফিরে এসে দেখে হাসানের মিস কল, আর এস,এম,এস।

" তুমি কি অনেক বিজি? ফোন ধরলে না কেন?" মোহনা, রিপ্লাই করল, " প্রফ এর সাথে দেখা করতে গেছিলাম"। হাসান আবার ফোন করেছে। মোহনা: হুমমম, বলো। হাসান: কেমন আছ? মোহনা: ভাল, তুমি? মোহনার মাঝে সেই উচ্ছলতা নেই, কেমন মনমরা হয়ে কথা বলছে। হাসান: মোহনা, তোমাকে এমন মানায় না।

তোমাকে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, চন্চল, প্রানবন্ত, তুমি এভাবে থেকনা। ভাল লাগে না মোহনা: আমি তো ঠিক ই আছি হাসান: হুমম, দেখতে পাচ্ছি তো। তুমি কি সব উল্টা পাল্টা মেইল করেছ? এর মানে কি? আমি তোমাকে ভুলতে পারবোনা। মোহনা: তোমাকে পারতে ই হবে। শোন, তুমি বুঝার চেষ্টা করো।

এভাবে জীবন চলে না। হাসান: চলছে তো, আর যদি না চলে, তাহলে থেমে যাবে। তার পরও আমি চেন্জ হতে পারব না। আমি যা আছি ভাল আছি, অনেক ভাল আছি। মোহনা: উহ: আমি পাগল হয়ে যাব।

শোন হাসান, তুমি বিয়ে করো, প্লিজ। দেখো, সব ঠিক হয়ে যাবে। তোমার কাছে আমার একটাই চাওয়া, তুমি বিয়ে করো। হাসান: হাহাহাহাহাহাহা। মোহনা: হাসছ কেন? বিয়ে তো করতে ই চাই, তোমার ফটোকপি এনে দাও, চোখ বন্ধ করে বিয়ে করে ফেলব।

মোহনা: নাহ, তুমি বুঝবে না, তোমাকে বোঝানো যাবে না। হাসান: তুমি এভাবে মন খারাপ করে থেকনা মোহনা। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, প্লিজ। মোহনা ফোন রেখে দিল। মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল।

কিভাবে বুঝাবে হাসানকে সে? হাসানকে বিয়ে দিতে ই হবে, যেভাবেই হোক। একবার বিয়ে হয়ে গেলে, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিছুখন পর আবার হাসানের এস,এম,এস। " তুমি আমাকে আমার মত থাকতে দাও, আমি ভাল থাকব, এমন কিছু করতে বলোনা, যেটা আমি পারবোনা। প্রমিস, আমি তোমার কাছে কিচ্ছু চাইব না।

just dont tell me to forget you. খুব বেশিদিন জালাব না। আমি বুঝি তোমাকে। আমি খুব নগন্য একটা মানুষ, n I know my limit. n I promise, I wont cross that. just dont think about me, just act for some days, ok? তারপরও যদি তুমি বলো, আমি তোমাকে আর বিরক্ত করবো না। কিন্তু আমি আমার মনের বাইরে বের না। কারন আমি জানি, তাতে আমি গড়বনা, বরং ভেংগে যাব।

আরে ধুর, চরি, তোর ভুত তা আমাকেও ধরেছিল। বাদ দে, তুই তোর কাজ কর, যেমন করছিলি। আর দুষ্টুমি করিশ না, ঠিকমত খাবি আর পড়বি। বুঝছিশ, পিচ্ছি?" এই এস,এম,এস পেয়ে মোহনা আরো নিস্তব্ধ হয়ে গেল? সে কি করবে? ভাবনার কনো কুল কিনারা পাচ্ছেনা। উহ, মোহনার সব এলমেল হয়ে যাচ্ছে।

এক ঘন্টা মোহনা ল্যাব এ বসে আছে, কোন কাজ করতে পারে নি এই এক ঘন্টায়। মোহনা ভাবছে, এভাবে হাসানকে বুঝানো যাবে না। আর এভাবে মন খারাপ করে থাকলে হাসানের আরো বেশি প্রব্লেম হবে। মোহনার যতই কষ্ট হোক, হাসানের জন্য সে সব করবে, হাসানকে সে নিজের থেকে দূরে সরাবেই, যেভাবেই হোক। মোহনা হাসানকে এস, এম,এস দিল, " আমি আর মন খারাপ করে থাকবনা" হাসান রিপ্লাই করল, " মোহনা মোহনার মতই থাকবে, চন্চল, হাসিখুসি, খুকি, তাতেই হাসান হ্যাপি থাকবে, অনেক।

ভুত যেন, আর না ধরে, আর হ্যা, মোহনা নিজের খেয়াল রাখবে, নইলে, নো হ্যাপি"। মোহন লিখল, " আর হাসান? মোহনা যা বলবে, হাসানকে তাই করতে হবে। " হাসানের রিপ্লাই, " হাসানতো হাসানের মতই থাকবে, সব সময়"।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।