আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীলাকাশের শূণ্যতা (৭)



১৪ বছর পর----- মোবাইল ফোনে আ্যলার্ম বাজছে। সকাল ৮ টা বাজে। আ্যলার্ম বন্ধ করে দি্য়ে আবার ঘুম। ১০ মিনিট পর আবার আ্যলার্ম বেজে উঠল। মোহনার ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছা করছে না।

প্রতিদিন সকালে ভাবে, আজ ইউনিভার্সিটি যাবে না। কিন্তু ল্যাবে না গেলে তো কাজ হবে না, আর সুপারভাইজারের ঝারি!! উহঃ, সুপারভাইজারের ঝারির কথা মনে হতেই লাফ দিয়ে উঠে পড়ল মোহনা। ঝটপট রেডি হয়ে ইউনিভার্সিটির দিকে ছুটল। এত কাজ করতে হয় ল্যাবে, মোহনার আর ভাল লাগেনা। পি এইচ ডি করা এতো কষ্ট জানলে মোহনা কখনো এই পথে আসতোনা।

এছাড়া দেশের বাইরে থাকতে মোহনার আর ভাল লাগে না। আব্বু আম্মুর কথা মনে পড়লে ছুটে চলে যেতে ইচ্ছা করে বাংলাদেশে। সারাদিনের ব্যাস্তময় জীবনে একমাত্র বিনোদনের সাথী হল মোহনার ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট। ল্যাবে কাজের মাঝে একটু অবসর পেলেই মোহনা চোখ বুলিয়ে নেয় অনলাইনের সাইট গুলোতে। দুপুর ১২ টা বাজে।

মোহনা ল্যাবে কাজ করতে করতে ক্লান্ত। ভাবল একটু রেষ্ট নিয়ে আবার শুরু করবে। কম্পিউটারের সামনে বসতেই সে দেখল, ফেসবুকে একটা ফ্রেইন্ড রিকোয়েষ্ট। নাম হাসান। মোহনা অপরিচিত কাউকে আ্যড করেনা কখনো।

প্রোফাইল পিকচার টা দেখে ভাবল, চেনে না, আ্যড করবে না। ইগনোর করে দেবার মুহূর্তে কেন যেন মনে হল, থাক, একটা ম্যাসেজ সেন্ড করি। "who are u pls? do u know me?" লিখে সেন্ড করে দিল। হঠাৎ করে মনে হল, এই হাসানকে মোহনা চেনে। তাড়াতাড়ি প্রোফাইলটা ওপেন করে জন্মতারিখটা দেখল।

হ্যা, ১৫ ফেব্র্রুয়ারী। এই তার ছোটবেলার বন্ধু হাসান, যাকে ভুলে যেতে চেয়েছিল মোহনা, ভুলে গেছে ও হয়তোবা কিন্তু জন্মদিন টা আজো মনে আছে। ১৪ বছর পর তার প্রি্য় বন্ধুটিকে দেখে মোহনার অনেক আনন্দ লাগল। এক মুহূর্তের জন্য মনে হল, মোহনা সপ্ন দেখছে। নাহ, সপ্ন না, সত্যি, হাসান এখন আরমি তে যব করে।

ক্যাপটেইন। বাহ, বেশ ভাল লাগল মোহনার। সাথে সাথে ম্যাসেজ সেন্ড করল, "wowo.. hasan, eto din por.... tomake dekhe shotti e khub valo lagse....wow.. tumi captain!!! khub valo lagse. pore abar kotha hobe, valo thako... bye" ল্যাব থেকে বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল মোহনার। ফ্রেস হয়ে একটু রেষ্ট নেবে তাই ল্যাপটপ অন করে ভাবল একটু গান শুনবে। ল্যাপটপ অন করতেইি দেখে হাসান ম্যাসেজ লিখেছে ফেইসবুকে।

at last.........mohona!!!!!!!!!!!!!...i donno ami ki bolbo......pic dekhei chinesi,ektu confusion silo,but the birthday.....26 july.....ami tomake kivabe khujesi bolle hoyto u wont believe it....joto friendra silo shobaike ask kortam,besh koekbar tomra jekhane thakte shekhane giesi,tara kisu bolte pareni,dhaka te rural electrification board er head office e giesi..they couldnt give ne trace abt uncle....tomar shob birthday te news paper e wish koresi,net e shob site e search koresi...lol....forget it....tomar last chithi ta ekhono amar kase ase...the last line was(can u remember?)...jokhon akashe chad uthbe ekpashe tumi takie thakbe......jai hok....it was 22nd december,1994 we last met....and on 24 th u left mymensingh...lol...mithu ase ekhono?....how is amit?...ekhono gan gau?.....howz ur life going on?...... ami army te ekhon...captain..computer freek bolte paro...tumi to jante abbu baire silen...then 95 e abbu okhane ek accident e mara jan...vaia,vabi r oder ek pichchi ekhon new jersey te ase...ammu, tuli(amar lil sis) r ami ekhane...tuli bba korse 3rd yr... onek kotha bole fellam...i donno what is going on me...kadte isse hosse....n may b i m crying....whatever.....valo thako....Allah Hafiz....tomar kotha shunte chai............would u reply???????????????????????????????? মোহনা এই ম্যাসেজ পরে পাথরের মত স্থির হয়ে গেল। হা্য়! হাসান তাকে এভাবে খুজেছে? আর মোহনা তো হাসানকে ভুলে গেছে অনেক আগেই। কেমন যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে মোহনার মাঝে। হাসানকে ম্যসেজ রিপ্লাই করল, hi.... ami shotti e khub obak hoechi, keu kau ke evabe khuje? aschorjo.... janish, I feel shy.... amar nijer moddhe kemon jeno ekta opradh bodh kaj korche, kemon jeno oshthir lagche... keno jani na, hoito ba eta ekta kron je, tui amake eto khujechis ar ami nishchup boshe cilam. jodio ba amar jonno onek shohoj cilo toke khuje ber kora, tar por o ami try kori ni. but ekta thik, ami jantam ekshmoy na ek shomoy tor sathe amar abar dekha hobe, jibon er shesh prante eshe o hobe....... keno jani mone hosche ei dekha ta na hoe e hoito valo hoto, jani na keno emon mone hosche... চলবে-----

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।