সিলেটে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে এমসি কলেজের পাশর্্ববর্তী সিলেট সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কর্মী শাহী আহমদ এমসি কলেজে আসলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বেলা ১টার দিকে ক্যাম্পাসে এলে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করে ছাত্রলীগ। খবর পেয়ে র্যাব-পুলিশ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে।
জাবিতে ছাত্রদল নেতাকে পেটাল ছাত্রলীগ : জাহাঙ্গীরনগর প্রতিনিধি জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আফম কামাল উদ্দিন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুর রহিম সৈকতকে পিটিয়ে জখম করেছে হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। গতকাল দুপুরে হল সংলগ্ন বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও হল শাখার আহ্বায়ক আবদুর রহিম সৈকত দুপুর ১টায় খাবারের জন্য বটতলায় যান। এ সময় তানভীরসহ ৪-৫ ছাত্রলীগ কর্মী এনামুল হক ভূইয়া নোলক (সিএসই, ৩৯তম ব্যাচ), জুয়েল রানা (ভূগোল ও পরিবেশ, ৩৯তম ব্যাচ) ও বিন মোহাম্মদ শোয়েব (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৩৯তম ব্যাচ) দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় সৈকত মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হলেও তারা পেটাতে থাকে। পরে সৈকতকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হলে ডা. শ্যামল দাস উন্নত চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। হামলাকারী তানভীর, জুয়েল, সোয়েব নোলক ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনির রাজনীতি করে বলে জানা গেছে। ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রাহাত বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা না হলে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। এদিকে তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে জাবি শাখা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সম্পাদক অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম। ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রক্টর ড. মুজিবুর রহমান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে দুপুর ৩টায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনসহ দুজন উপ-উপাচার্য আহত শিক্ষার্থীকে এনাম মেডিকেলে দেখতে গেলে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার গাড়ি ভাঙচুর করে। উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, রাত ৮টায় ডিসিপ্লিনিয়ারি কমিটির সভায় হামলা ও ভাঙচুর ঘটনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে ছাত্রদলের আলটিমেটামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।