আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদল স্বৈরাচার, আরেক দল রাজাকার কাছে টানছে :

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, একদল স্বৈরাচারকে কাছে টানছে, আরেক দল রাজাকারকে কাছে টানছে। এই দুই নীতিহীন রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। লড়াইয়ের মাঠে নামতে হবে।

গতকাল রাজধানীর শাহবাগে বিকাল ৪টায় লেখক-শিল্পী-সংস্কৃতি কর্মী-পেশাজীবী-শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিভিন্ন ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন। সাংস্কৃতিক কর্মী কবি অরূপ রাহীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন লেখক ও প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক স্বপন আদনান প্রমুখ।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আজ (গতকাল) স্বৈরাচার মুক্ত দিবস। এই দিনে জেনারেল এরশাদের পতন হয়েছিল। এরশাদের পতন আন্দোলনে নূর হোসেনের বুকে লেখা ছিল 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।' কিন্তু স্বৈরাচার নিপাত যায়নি, গণতন্ত্রও মুক্তি পায়নি। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতীক এরশাদ এখনো বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষমতায় কে যাবে তা নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করছেন।

সিপিবি সভাপতি আরও বলেন, যখন আওয়ামী লীগ আমেরিকাকে খুশি করতে টিকফা চুক্তি করে, তখন প্রধান বিরোধী দল আমেরিকাকে আরও খুশি করতে টিকফা চুক্তির সমর্থন জানায়। প্রভুদের খুশি করতে এই দুই দলের নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই বলেও মনে করেন এই বামপন্থি নেতা।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, দেশ আজ দুই রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি, দেশ আজ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির নেতারা, আরেক দিকে ১৬ কোটি মানুষ। জনগণ জনগণের পক্ষেই আছে। অথচ দুই বড় দল দাবি করছে জনগণ তাদের পক্ষে আছে। ওই চার দলের মৌলিক নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই। দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ আজ দূতাবাসে বসে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এসে ঠিক করছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জরুরি অবস্থা জারি করলে তা হবে আত্দঘাতী। সরকার যদি পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে জরুরি অবস্থা জারি করে, তাহলে তা কারও জন্যই ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। তিনি বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আন্দোলনের নামে জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারেন না। পারলে সরকারকে অবরুদ্ধ করেন, মন্ত্রণালয় অবরোধ করেন। জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলন না করে জনগণের কাছে যান, নিজেদের জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.