নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আমিশাপাড়া বাজারে মো. পারভেজ (১৮) নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা আরও ৭ ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পারভেজ উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি আমিশাপাড়া আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র এবং এবারের দাখিল পরীক্ষার্থী। আহতদের উদ্ধার করে বজরা হাসপাতাল, চাটখিল হাসপাতাল ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে হামলাকারীরা এলাকার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী।
স্থানীয়রাজানায়, পারভেজসহ কয়েকজন ছাত্র মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা আমিশাপাড়া বাজারে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। একপর্যায়ে তাদের গুলিতে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে চাটখিল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতার কব্জি কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা : বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বেনজির আহমেদকে (২৪) কুপিয়ে কব্জি কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে গতকাল দুপুরে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রশিবির এটি করে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। বেনজির আহমেদ ইসলামের ইতিহাসের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলার বরবরিয়া গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি দুপুর ১টার দিকে শাহ সুলতান কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে রিকশায় শেরেবাংলা নগরে ছাত্রাবাসে ফিরছিলেন। পথে শেরপুর রোডের কানুছগাড়ীতে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। বেনজির দৌড়ে পাশের একটি ওষুধের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে তার হাতে ও ঊরুতে কুপিয়ে দুই-তিনটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। বেনজিরকে স্থানীয়রা প্রথমে বগুড়া মোহম্মদ আলী হাসপাতাল এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউল আলম জুয়েল জানান, বেনজিরের বাম হাতের কব্জি কেটে গেছে। ঊরুর তিনটি স্থানে ছুরিকাঘাতের দাগ রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সদর থানার ওসি সৈয়দ শহিদ আলম বলেন, 'শিবির এ হামলা চালাতে পারে। তবে এ নিয়ে তদন্ত চলছে।' জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো জানান, দায়ীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।