গন্ত্যবের শেষ পরিণতি জানা নেই......... জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়নে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি ৩ মিনিটের সংহতি প্রকাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৪ দল আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এ সংক্রান্ত বিল সংসদে উপস্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি সংসদে এ বিল উঠবে।
একই কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মের দাবি দেশের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। জামায়াত নিষিদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ স্কয়ারে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানানোর পর সারা দেশে একই ধরনের মঞ্চ থেকে এই দলটি নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলাকালে এ বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের জন্যও আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী।
শহীদ মিনারের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য ঐকমত্য দরকার।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি তো আগে নিষিদ্ধ ছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান তাদের পুনর্বাসন করেছেন। জনগণ জেগে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কোন দেশেই এ ধরনের রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নেই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে সংসদে নতুন আইন পাস হচ্ছে। আইনটি পাস হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের অসিত বরণ রায় ও ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা কর্মসূচিতে অংশ নেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।