এবার বিদায়ের পালা ...
সেশনাল,ক্লাস টেস্ট,অ্যাসাইনমেন্টের খপ্পরে প্রাণটা একেবারে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছিল। নানান ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে যখন আমরা ফিকির করছিলাম তখনই একদিন ঘোষণা এল,মেকানিক্যাল ডে উপলক্ষে ইন্টার ব্যাচ ডিপার্টমেন্টাল ফুটবলের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের মত পাঁড় ফুটবলভক্ত ও ফুটবলারদের জন্য এ যে ছিল মেঘ না চাইতেই জল । তারপর কয়েকদিন মাঠে গিয়ে হাড়ভাংগা প্র্যাকটিস এবং ম্যাদামারা শরীরগুলোকে সচল করার দুরুহ অপপ্রয়াস। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুরু হল টুর্নামেন্ট।
প্রথম ম্যাচই ০৫ ব্যাচের সাথে। একেবারে যাকে বলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হওয়ার পর আমরা (০৬ ব্যাচ) ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে গেলাম।
অবশেষে এল ধীরে ধীরে ফাইনালের মাহেন্দ্রক্ষণ এগিয়ে এল। খেলা শুরুর আগ থেকেই উত্তেজনায় আমাদের বুক ঢিপঢিপ করছিল। শিরোপা জিততে পারবতো?প্রতিপক্ষ (০৭ ব্যাচ)কে হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ ছিলনা।
কিন্তু কাগজে কলমে আমরাই ছিলাম এগিয়ে। যাই হোক,রেফারির হুইসেলে খেলা শুরু হল।
ওরা ১৫ জন
আমরা দ্রুত যে যার পজিশন নিয়ে ফেললাম। প্রথম দিকে অবশ্য খানিকটা এলোমেলো খেলাই হচ্ছিল। সময় গড়ানোর সাথে ধীরে ধীরে দুই দলই আক্রমন পালটা আক্রমণ চালাতে থাকে ।
তবে আমাদের উইঙ্গার সৌরভ আর প্লেমেকার শাহীনের দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় ওরা জেরবার হয়ে পড়ছিল । এরই ফাঁকে আমিও বারকয়েক রাইট ব্যাক থেকে ওভারল্যাপ করে এগিয়ে যাই। কিন্তু মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও প্রথমার্ধ গোলশুন্যভাবে শেষ হয়।
বিরতিতে আমাদের দুর্ধর্ষ টিম মিটিং
আমাদের আদি ও অকৃত্রিম সাপোর্টারেরা
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওদের আমরা একেবারে জেঁকে ধরি। এমন সময় সৌরভ হঠাৎ বল নিয়ে দু জনকে কাটিয়ে ঢুকে পড়ে ডিবক্সে।
কিন্তু তৃতীয়জনকে কাটানোর সময় হঠাৎই সে পপাৎধরণীতল।
তারপর রেফারিকে ঘিরে আমাদের আবেদন
এবং পেনাল্টি স্পটের দিকে রেফারিরি অঙ্গুলিহেলন ,অতঃপর গোওওওওওওওওওওওওওল
এরপর বাকি ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার মাঝে কোনোমতে পার করে দেওয়া। অবশেষে সেই কাংখিত জয়
ইতো-অঁরির স্টাইলে আমাদের বিজয়োল্লাস
পাদটিকাঃ দুর্দান্ত স্ন্যাপশটের জন্য বন্ধু নিলয় ও আশিককে ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।