আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আষাঢ়ে রান্না

পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি

খিচুড়ি সবাই রান্না করতে পারে, সুতরাং এই সব নিয়ে লম্বা বর্ননা করবো না । তবে, খিচুড়িটাকে আরেকটু মজাদার করতে বেশ খানিক্টা পিয়াজ কুচি নিয়ে ভেজে লালচে করে ফেলুন, যেটাকে বেরেস্তা বলে। তারপর এই বেরেস্তার ভিতর যথারীতি মসলা , কাঁচামরিচ, লবণ দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে ফেলুন। বেরেস্তা রান্নার মাঝখানে দেবেন যদি কিছুটা আস্ত রাখতে চান। খিচুড়ির ওস্তাদী হলো পানির মাপে।

পানিটা ঠিকমত শুকিয়ে যাবে কিন্তু চাল শক্তও হবে না, গলবেও না -- এই হলো কথা। সেক্ষেত্রে যারা পানি নিয়ে একটু সমস্যায় থাকেন, খিচুড়ি রান্না করার সময় পাশের চুলায় ফুটন্ত পানি রাখুন। ঠান্ডা পানি দেবেন না। খিচুড়িতে সুগন্ধ আনতে নামানোর ঠিক আগে এক চামচ ঘি ( অবশ্যই খাঁটি ) উপরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। যারা আমার মত ঘি পছন্দ করেন না, তারা কয়টা লেবু পাতা ব্যবহার করতে পারেন।

খিচুড়ির জন্য গভীর নয়, বরং ছড়ানো পাত্র ব্যবহার করুন। উপরে পানি থক থক করে কিন্তু তলায় ধরে যায় বলে খিচুড়ি হয়ে এলে সাবধানে নেড়ে দিন, উপরের পানিকে তলায় যেতে দিন। আমার যেভাবে মজা লাগে। বেরেস্তার কথা তো বললামই। আমি সব সময় কয়েক রকমের ডাল মিশিয়ে দেই।

সাথে কয়টা ডিম সেদ্ধ করে , মাঝ খান থেকে দুই ফালি করে উপরে সাজিয়ে দেওয়া যায়। তবে, তার চেয়ে ডিমের ভুনা কিংবা কোরমা করতেই বেশি ভালো লাগে। ডিমের ভুনাও খুবই সহজ, সুতরাং ঐটার বর্ননাতেও গেলাম না। বরং, টিপস এর কথা বলি। সরিষার তেল ব্যবহার করলে রান্না অনেক বেশি মজা হয়।

সব সময় খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া মুশকিল। বাজারে সরিষা বাটা পাওয়া গেলে তাই এক চা চামচ মিশিয়ে দিন। খিচুড়ি কিংবা গরুর মাংসের স্বাদই পালটে যাবে। বেগুন ভাজা কে না খায়? খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজা পরিবেশনের একটু আগে বেরেস্তা , খুব সামান্য জিরা আর এক চামচ দই দিয়ে একটা ঝোল এর মত করে বেগুন ভাজা গুলোকে উলটে পালটে নিন। এক টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ পানি।

নামানোর আগে পানিটা একদম শুকিয়ে ফেলুন। অতিথিদের চমকে দিন, এইটা আবার কি ধরনের বেগুন ভাজা! কোক দিয়ে মুরগী - মুরগীর ডানা নিন শুধু। ১ কেজি। কুচি করা আদা আর রসুন মিলিয়ে এক থেকে দেড় চা চামচ আর সাথে গরম মসল্লা ( গোল মরিচ, দারচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ সব মিলিয়ে ১ চা চামচ + স্টার এ্যানিস ২ টা) দিয়ে সবচেয়ে বেশি জ্বালে ভাজুন। মুরগীর ডানা লালচে হয়ে এলে ৫০০ মিলি কোক ঢেলে দিন।

আঁচ কমিয়ে মাঝারি করুন। পানি কমে আঠা আঠা হয়ে এলে নামিয়ে নিন। মুরগীটাই খেতে মজা, ঝোলটা নয়। সুতরাং, স্রেফ ডানা গুলো তুলে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। সস দিয়ে বা ভাতের সাথেও মজা।

ব্লেন্ডার আছে ? তাহলে একটা বাটিতে তেতুল গুলে তাতে সামান্য শুকনা মরিচের গুড়া , সামান্য গোল মরিচের গুড়া মেশান। মিষ্টি খেতে চাইলে মরিচের বদলে চিনি মেশান। এবার কয়টা টমেটোসহ ব্লেন্ড করুন। পরিবেশনের সময় উপরে পুদিনা বা ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন। হয়ে গেলো স্বাস্থ্যকর পানীয়।

সালাদে একটু ভিন্নতা আনতে অলিভ ওয়েলের সালাদ ড্রেসিং ( যেইটা গায়ে মাখেন, অইটা না) বা গ্রীক সালাদ ড্রেসিং মিশিয়ে দিতে পারেন। সাথে কটেজ পনির ( নিউমার্কেটে কম দামেই পাবেন) চৌকো করে কেটে , টিনজাত অলিভ মিশিয়ে দিতে পারেন। হয়ে গেলো গ্রীক সালাদ। ( গ্রীক সালাদে কিন্তু মরিচ খায় না । সুতরাং...) আমি একটু সালাদের পাগল।

তো, বিস্তারিত না হয় আরেক দিন , আজকে এইটুকুই থাক। মেইন কোর্স থেকে শুরু করে পানীয় , সালাদ পর্যন্ত সব হয়ে গেলো । এইবার খেয়ে ফেলুন ঝটপট আর বলুন কেমন লাগলো ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।