যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
গ্রামীন ফোনের কল সেন্টারে ১৩শর মত লোক চাকুরী করে। নিকুঞ্জের লোটাস নিলয় বিল্ডিং টা জুরে তাদের কলসেন্টার। গ্রামীনের কাস্টমার সার্ভিসে যখন গ্রাহকরা বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য ফোন করে থাকে তখন তার উত্তর দেয়া হয় এই কল সেন্টার থেকে। একজন জিজ্ঞেস করলো, ভাই আমার এফ এন্ড এফ কে কে আছে মনে করতে পারছি না, একটু জানাবেন! কল রিসিভার গ্রাহকের নাম্বার তার সামনে রক্ষিত কম্পিউটারের একটা প্রোগ্রামে চাপলে তার প্রোফাইল চলে আসবে, সেখান দেখা যাবে তার এফএন্ডএফ কারা। অথবা গ্রাহক জানতে চাইতে পারেন তার ফোনবিলের খবর, যা পাওয়া যাবে উক্ত ডাটাবেজে।
তথ্য সরবরাহকারী স্টাফ দুইধরণের সফটওয়ার ওপেন করতে পারেন, যার একটা হচ্ছে প্রোফাইল সংক্রান্ত বা সাবসক্রিপশন ফর্ম। এখানে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক নানাবিধ প্রোগ্রাম বা পেজ ওপেন করার দরকার হতে পারে - যা ছাড়া আসলে গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।
আরেকধরণের প্রোগ্রাম সে ওপেন করতে পারে যেখানে থাকে গ্রাহকের কল লগ। একজন গ্রাহক কোথায় কোথায় ফোন করেছেন এবং তাকে কে কে ফোন করেছে সব এখানে এন্ট্রি থাকে। এইখানে কলসেন্টারের কাজ করা এজেন্টরা ঢুকলে তাদের নাম উঠে থাকে।
মানে কে এই ইনফো দেখতেছে সেটা শনাক্ত করা যায়। হুদাহুদি এইখানে ঢুকলে চাকুরীও চইলা যাইতে পারে।
এই কল লগের আরেকটু কনফিডেনসিয়াল জায়গা আছে। সেখানে গ্রাহকের যাবতীয় ফোনকলগুলার কথোকথোনও শোনা যায়। ফোনের মালিকের এক্সাক্ট অবস্থানও বের করা যায়।
এই অপসনগুলা দেখা ও নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার থাকে হর্তাকর্তাদের। আইটির লোকজনের তো বাই ডিফল্ট সে অধিকার থাকবে। এবং এখানে যারা ঢুকছে তাদের সকলের ইউজার নেম এখানে উঠে থাকবে।
তবে কিন্তু যদি আছে। হর্তাকর্তারা কেউ চাইলে এইখান থেকে কোন গ্রহীতার কোন একটা নিদৃষ্ট দিনে কোন একটা নিদৃষ্ট নম্বরের যাবতীয় কল লগ মুছে ফেলতে পারে।
মুছে ফেলতে পারে তার ফোন কল এবং কথাবার্তাও। কিন্তু সেজন্য কি তা বের করা সম্ভব নয়?
আমি কথা বলেছিলাম গ্রামীনের কয়েকজনজ টপলেবেল আইটিবিদের সাথে। তারা বললো তারপরেও বের করা সম্ভব। কারণ কোম্পানীর স্বার্থেই বিভিন্ন ব্যাকআপ রাখা হয়। তাছাড়া কথাবার্তা মোছা গেলেও কোনভাবেই কাউকে ফোন করছে কিন্তু সেই নম্বরে কোন ফোনই হয় নাই এমনভাবে পরিবর্তন করা কখনই সম্ভব না।
যে প্রসংগে বলতেছিলাম তা হইলো ২৫শে ফেব্রুয়ারী মুজাহিদের সাথে পিন্টুর মোবাইল কথোপকথন নাকি খুঁজে পাওয়া যাইতেছে না কোন একটা মোবাইল কোম্পানীতে। গ্রামীনের কল সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সম্বন্ধে উপরে বর্নিত ধারণাটা জনৈক গ্রামীণের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত যার আলোকে আমার মনে হইলো এইটা অসম্ভব। পেন্দানী দিলে বের হয়ে যাবার কথা। যদি সত্যি দেখা যায় তাদের কথাবার্তা পাওয়া যাইতেছে না তাইলে তো আরো বেশী সন্দেহ করা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।