নিরব আঙ্গিনায় বসে আছি হয়ত স্পর্শ আমাতে আমি হব।
দুর্ঘটনা আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি শব্দ। প্রতিদিন আমাদের দেশে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে যেন এর কোন প্রতিকার নাই। গত কয়েক দিন আগেকার একটা ঘটনা আমি মোটর সাইকেল নিয়ে বাংলার তাজমহল দেখতে যাচ্ছিলাম নরসিংদী থেকে গাউসিয়া পার হয়ে বরপার কাছাকাছি কোন এক অঞ্চলে মোটামোটি আস্তে আস্তে যাচ্ছিলাম তবে আমি পিছনে বসা ছিলাম ড্রাইভ করছিল ছোট ভাই। সেও ভালই চালায় তার উপর আমার বিস্বাস আছে।
কিন্তু বিপত্তি ঘটল যখন আমাদের বিপরীত দিক থেকে পরপর চারটি গাড়ি ওভার টেক করছিল তখন বাদ্য হয়েই আমাদের মোটর সাইকেল রাস্তার পাশের ছোট ফুতপাতের উপর দিয়ে আস্তে আস্তে যাচ্ছিল। দুর্ভাগ্য আমাদের যে ফুতপাতের মধ্য এত এত বড় একটি বিশাল ভাঙ্গা ছিল যেটা মোটর সাইকেল দিয়ে পার হওয়া সম্ভব নয়। তাই যা হবার যথারিতী তাই হল। অর্থাৎ আমরা দুর্ঘটনায় পতিত হলাম বিকট শব্দে মোটর সাইকেল চিৎ পটাং হল। ধপাস ধপাস আমরা পরে আহত হলাম।
ভাগ্যিস তখন বিপরীত পাশের গাড়ি গুলো একটুর জন্য আমাদের বাচিয়ে গেল। দুঃখ আমার বাচার জন্য না। দুঃখ আমার আসলে দুষটা কার। ঐ বিপরীত পাশের গাড়ি গুলোর যে গুলো ওভারটাইক করার জন্য প্রতিযোগীতায় লিপ্ত তাদের নাকি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। তাদের নাকের ডগায় রাস্তায় এত বড় গর্ত যেখানে দুর্ঘটনা ঘটার উপযুক্ত ভাবে পরে আছে কিন্তু ঠিক করার প্রয়োজন মনে করেনা।
নাকি সরকারের দুষ সরকার এত টাকা দিয়ে কতগুলো বদল লালন করে যারা বসে বসে আমাদের টাকা থেকে মাইনে নেয় অথচ আমাদেরকে মৃত্যর মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য কি সুন্দর ব্যবস্থা জিয়য়ে রাখে। একবার ভাবুন তো যদি তাদের কেউ একজন এই অব্যবস্থাপনার জন্য দুর্ঘটনায় পতিত হত তাহলে কেমন হত। অবশ্যই ভাল হত। কারন ভাল শিক্ষা পেত। অন্তত কাজে আর কোনদিন ঢিলা দিতনা।
না না না মনে হয় দুষটা আমারই কারন এই দেশে নাগরিক হয়ে জন্ম নেয়টাই মনে হয় দুষের। নতুবা এত টাকা দিয়ে বলদ হাল চাষ করার কোন মানে হয়। আমি যদি সরকারে থাকতাম তাহলে আগে ঐ বলদ গুলারে দিয়া জমি চাষ করাইতাম যেমন করাইতাম বাংলাদেশ ক্রিকট দলকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।