শঙ্খপাপ আমার
এক ঝাঁক কইতর নিয়ে বসে থাকতেন সমগ্র ছাদ, কামিজে সাদা সাদা বিকালিন প্রবাহের খরগোশ; আমি কতদিন পাশ্ববর্তী কইতর হতে চেয়েছিলিম-
শুধু গায়ের রঙ ছিল জামকালো।
আপনি ছিলেন পড়ন্ত উঠোনে শেষ-সূর্যের নিবিষ্ট পাঠিকা,
আমি রোদের শেষ অঙ্কুর মেখে একগাল সন্ধ্যে;
নিপা আপা, বিকালের জামায় এখন-ও আমার আস্তিন আঁটে না!
বারান্দার কম্পমান বাতাসে আপনার দৃশ্যাবলি কতো মধু-আশা;
কান বিন্দাইছিলেন অনেক পরে- আপনার সেকি গভীর নাকিসুর
পঁচিশ পেরানো পুরুষ হয়ে আজ-ও কিশোরী কোন হাঁসের কান বিন্দানো দেখি!
বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে বিরাজিত ধুলি দিয়ে করতলে
তৈয়ার করেছিলিম এককালীন ধুলিনদী;
বয়সকালীন বাঘ-গম্ভীরতায় চোরাস্মৃতি খরগোশের খোলস!
নিপা আপা, আঙুলের বৃন্তে বেহেশত-নরক লুকিয়ে বিশোধন হয়ে যাব
প্রথম পলকা পলকা শরীরঘ্রাণ, প্রাথমিক সামাজিক পাঠ।
----------------------
সম্ভবত ২০০৭ এর শেষার্ধ
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।