শুকরেরও অধম....... আমি নরকের কীট
আমার গুডু বাবুটা যখন রোদের জামা গায়ে দিয়ে, রূপোর চুড়ি পরে, ঝুনঝুনি হাতে, কাজল দেওয়া চোখে যখন আমার দিকে তাকিয়ে একটুখানি হাসে.....
তখন মনে হয়, এই হাসিটার জন্য আমি তাকে পুরো বিশ্ব দিয়ে দিতে পারি।
মেয়েটা বড় হয়ে গেছে। তবে ওকে যখন প্রথম দেখি_ ও ছোট্ট ছিল তখন, ছোট্ট,-নিষ্পাপ আর ভীষণ আদুরে ।
সেই ছোট্ট বেলার বেশিরভাগ জিনিসই রয়ে গেছে ওর মধ্যে। তবে আমার সাথে এখন খবরদারিও করতে পারে?
ঐদিন মুঠোফোনটায় ওর কন্ঠে হ্যালো শুনতে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, " কি করছে আমার গুড্ডি বাবুটা?" বলে কিনা "রান্না করি"!!!!!!!!!!!
অনেকদিন পর দেখা হল সেদিন আমাদের।
আদর করে কাছে টেনে নিতেই লজ্জাবতী মেয়েটা হঠাৎ সব বাঁধ ভেঙে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। মৃদু গলায় বলল, "ভালবাসি"।
আমি গুড্ডির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদর করছিলাম। হঠাৎ দেখি মেয়েটা বেণী করেছে! আমি বললাম "এই দেখি তোমার বেণী"আর ও লজ্জায় ঘাড় গুঁজে মিশে গেল আমার ভেতর। আমি মৃদু হেসে আবিষ্কার করলাম আমার তুনতুন সোনার চুলের বেণী কোমর ছুঁয়েছে!!
কে বলবে, বছর চারেক আগেও আমি ওর ছোট্ট চুলগুলো স্পাইকের মত করে খাড়া করতে চেয়েছিলাম বলে কপট অভিমান দেখিয়ে আমার হাত ছাড়িয়ে নিয়েছিল সে!
আমার গুড্ডি বড় হয়েছে।
ছোট্ট বেলার সেই আদুরে নামটাতে ডাকলেই রেগে যায়! গম্ভীর মুখে নিজের নাম বলে
আমি মেয়েটাকে কীভাবে বোঝাই আমাকে যতই শাসন করুক না কেন, সে আমার কাছে সেই ছোট্ট তুন হয়ে থাকবে। বড়দের মত হাতের লেখায় চিঠি লিখলেও আমি ঠিক চিঠির শেষটায় চুমু খেয়ে নাক ঘষে বলব, "আমর সোনা তুন, আমার যাদু তুনটা"......
আমি ঠিক করেছি, আমার তুনটাকে আমি একটা ঝুনঝুনি কিনে দেব। যেটা নাড়িয়ে ও টুক টুক পায়ে হাঁটবে, শব্দে শব্দে আমি ওর অস্তিত্ব অনুভব করব।
আর কিনব একটা রোদের জামা..... আমার রূপালি চাঁদের গায়ে সোনালি রোদের জামা.......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।