আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোদের মত ভুল

মুখোশ
বহুদিন ধরে... বহুক্রোশ ঘুরে পরিশ্রান্ত কোন গোধূলীতে ইতি টেনেছিলাম এক যাত্রার। ‘সাময়িক ইতি’। অবিশ্রান্ত দিন-রাত্রির গল্প কিছুদিন নির্বাসনে থাক। যদিও গল্পগুলো ছিল সত্যের চেয়েও ধ্রুব। আমি প্রহেলিকায় পড়ে যেতাম যখন তার চরিত্রগুলো এক একে আমার সম্মুখে এসে দাঁড়াত।

সেই মুহুর্তের বাস্তব দৃশ্যপটের ক্ষুদ্রাংশ যেন আরো অনেক আগে দেখা দিয়েছিল ঘুমভর্তি কোন রাত্রির জঠরে। অশরীরী এইসব সাময়িক জাতকদের উপস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলত আমার অভ্যন্তরকে, আমার চারপাশকে। একটি অদ্ভুত আবহে চারপাশ তখন স্থিমিত। বাতাসে গন্ধ ছড়ায় বহু আগে ‘মৃত’ উপাধি পাওয়া মৃত্যুঞ্জয়ী স্মৃতিগুলো। অপাঙত্তেয় হওয়ার সব যোগ্যতা ছিল তাদের, তবুও অবিনশ্বর সেই সব দেয়ালিকা ছিল শবদেহের মতই ভীতকর।

দোদর্ন্ড প্রতাপে প্রলুব্ধকর আহবান জানিয়েছিল যে নিনাদ সেই কন্ঠ‌ এখন বাজে আর্তচিৎকারের স্বরে। তাদের রুক্ষ স্পর্শে বিদীর্ণ হয়ে যায় সবুজাভ সামিয়ানা আর নীল চত্বর। উত্তপ্ত নিঃশ্বাসের গা বেয়ে আঁচড়ে পড়ে মৃত্যুহীম অবসাদ। তারপর চোখভর্তি ঘুমপাখিদের মিছিল। আমাকে আমন্ত্রন জানিয়েছিল কিছু ঘাসফুল।

বিষণ্ণ চোখে চেয়েছিল তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে। অপরাগ ছিলাম আমি, গোপন কোন আশংকার বাতাস আমাকে ভাসতে দেয়নি সেই অভিলাষে। দূরত্ব বাড়ছিল ক্রমশ। ভেবেছিলাম বৃত্তাকার পথে বিচ্ছিন্নতা সাময়িক। তবু পাশবিক এক নির্জনতা আমাকে গ্রাস করেছিল মধ্যরাত্রির মত।

আমার চিৎকারের প্রত্যুত্তরে সাড়াহীন ছিল ভঙ্গুর চারপাশ। এমন নির্লিপ্ততার ব্যবচ্ছেদ আমাকে জানিয়েছিল-হয়ত আমি স্বর হারিয়েছি অথবা শ্রবণ। অসহায় চেয়েছিলাম প্রমত্ত নদীর অবিচার। এখন যেখানে জলের প্রলয় নৃত্য চলে সেখানে কিছু তরতাজা প্রাণ ছিল। ছিল মৃত্যুর অবিরল হুংকার।

লাশের কাছে মৃত্যুর মত’ই বৃথা ছিল অন্ধের কাছে অন্ধকারের আস্ফালন। নির্বাক নবজাতকরা জানত মৃত্যুর অমলিন স্মৃতি অনেক সময় জীবন থেকেও দীর্ঘতর হয়। তারপর মৃত্যু ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিয়েছিল আঁতুড়ঘর। সহস্র অযুত প্রশ্নবোধক প্রসব করে নিরুদ্দেশ হয়েছিল পৃথিবীর শেষ বসন্তটি। কুন্ডলিত বাতাসে ঘুরপাক খেয়ে প্রশ্নগুলো হারিয়ে যায় অলক্ষ্যে অথবা মুখ থুবড়ে পড়ে।

মাঝে মাঝে আগ্রহ হারিয়েও যেমন আমরা বেঁচে থাকি তেমনি নিরুৎসাহে আরো অনেক কিছুই করা যায়। উত্তরের প্রতীক্ষা তেমনই একটা সমীকরণ। বিপরীতের মৌনতা তখন বিভ্রান্তির রোল তোলে। দৃষ্টির নিগূঢ় পরিচয় পেতে অপেক্ষা করতে থাকে তীর্থযাত্রীর দল। পরস্পরের অজান্তে উত্তর জানা ছিল সবার।

সবাই জানে অন্তঃপুরের নিকৃষ্টতা আর সরল দৃষ্টির যুগপৎ বসবাস সাধ্যাতীত তবুও আমরা সবাই ভুল করে ছায়াকে মূর্তি ভেবে বসি। চুপ থাকো ভুল, নীরবে সয়ে যাও অবিনাশী যাতনা। Hand of fate is moving and the finger points to you He knocks you to your feet and so what are you gonna do Your tongue has frozen now you've got something to say The piper at the gates of dawn is calling you his way You watch the world exploding every single night Dancing in the sun a newborn in the light Say goodbye to gravity and say goodbye to death Hello to eternity and live for every breath Your time will come, your time will come Your time will come, your time will come ** "মৃত্যুর অমলিন স্মৃতি অনেক সময় জীবন থেকেও দীর্ঘ হয়"- অরুন্ধতী রায়ের 'দি গড অব স্মল থিংস' এর খুব প্রিয় একটা লাইন। **লিরিকটি "Iron Maiden এর "The Wicker Man " এর।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।