সেভাবে কিছুই হয়না জানি, তারপরও লেখার বাতিক এসে আমাকে
ভাবাতে পারেনি-
অখন্ড ধানক্ষেতে আমার দৃষ্টি খুব বেশী নয়,
মাত্র দিগন্তব্যাপী গিয়েছিল।
দূর থেকে উড়ে আসছে হাঁসের ডাক ;
আলোকিত বাতাস রেখে কাছে গেলে অবাক হয় ধানক্ষেত-
প্রয়োজনীয় আলোকে অন্ধকারের বিস্ফোরণের ঠিক পরের বিষন্নতার দিনেই যে ভাবতে চায় মৃত্যু,
হে অদেখাসমুহ,তাকে আরো ভাবতে শেখাও,
ভাতের বিরল খিদে নিয়ে
আমিও তো মৃত্যুর কথা ভাবতে দেখেছি।
আমিও এক পা হাটলে এক পা সামনে থাকে অদ্ভুত এক জীব।
সামাজিক রুদ্ধতা ও অমায়িক মিতালীর মুখোশের আড়ালে এক বিক্রমবিবর্তন আকার হারিয়ে ফ্যালে।
অবলোকনের সবটুকুই শুধু নির্দিষ্ট অবদমনে নয়-
এই ভেবে সম্পূর্ণ রঙীন বিকেল দেখে;
অথবা পশ্চিম দেখতে শুধু পশ্চিমে যাওয়া নয়
যেদিকেই যাওনা কেন দেখতে পাবে কিছু দৃশ্য ভেসে যাচ্ছে-
আর নম্র নীলিমা এসে বিশ্রাম নিচ্ছে বিদ্যুৎ না পৌছানো গ্রামে।
ফড়িংটি উড্ডয়ন পথে ঘাস ভেবে বসলো আমার আঙ্গুলে
যেন কিছুটা তারুণ্য রয়ে গেছে আমার,
বলি,আঙ্গুলে আমার দত্তাপুরুষের
মতো ছিলোনা আংটি...তবুও তোমাতে চিমটি দেবো!
সবকিছু মিলে যাচ্ছে, আবার যাচ্ছেনা কোথাও!
এমন সময় বিদ্যুতের মতো তাদের কথা মনে এসে যায়,
যারা উড়তে পারেনি-
নাগরিকরা দু’হাত মেলে ছুটে গেলে
ভেঙ্গে পড়তো নগর,
তারপর থেকে করতলে দেখছি ঘাসের মন্থন।
(কালনেত্রে প্রকাশিত,কিন্চিৎ পরিবর্তিত)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।