আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুরের যাদুকর বেটোফেন বধির ছিলেন!!!!!!!!!!!!!

কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।

সুরের যাদুকর বা সুর সম্রাট যাই বলি না কেন বেটোফেনের জন্ম ১৭৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে জার্মানির বন শহরে। বেটোফেন বিধাতার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। তিনি তার সৃষ্ট সুর দিয়ে সারা বিশ্ববাসিকে করেছেন বিস্মিত। কিন্তু বিধাতার এ কি লীলা ! তিনি ছিলেন বধির।

বত্রিশ বছর বয়স থেকেই তিনি ক্রমে ক্রমে কানে কম শুনতে আরম্ভ করলেন। তখন তিনি কানে এক ধরনের চোঙ্গা ব্যাবহার করতেন। তার বধিরতা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে, সেই সাথে বাড়তে থাকে তার চোঙ্গার সাইজও । তাতে করে তার কোন লাভ হয় নি। ক্রমে ক্রমে তিনি সম্পুর্ন বধির হয়ে যান।

যখন তার কোন সঙ্গীতপ্রেমি সহচর তাকে জানাত “কী সুন্দর বাঁশি বাজায় ছেলেটি। “ তিনি তার কিছুই শুনতে না পাবার কারনে বলতেন--- তিনি এই মুহুর্তেই আত্মহত্যা করতেন যদি না তার বিশ্বাস থাকতো যে সঙ্গীতে তার এখন ও অনেক কিছু দেবার আছে। বদ্ধ কালা হয়ে যাবার পরও বেটোফেন মনে মনে সঙ্গীতের রূপটি ধারন করে বহুবিধ স্বর্গীয় রচনা করে গেছেন। যেগুলো তিনি স্বকর্নে শুনে যেতে পারেননি। তিনি জীবনের শেষের দিকে সৃষ্টি কর্তার উদ্দেশ্যে করুন আবেদন জানাতেন প্রভু যেন তাকে একবারের মত তার শ্রূতিশক্তি ফিরিয়ে দেন যাতে করে তিনি মাত্র একবারের জন্য তার আপন সৃষ্ট সঙ্গীত শুনে যেতে পারেন।

তারপর তিনি সধন্যান্তঃকরনে পরলোকে যেতে প্রস্তুত। বেটোফেন ছিলেন সর্বান্তঃকরনে ঈশ্বরবিশ্বাসী। শুধু তার সঙ্গীত নয়, তার বাক্যালাপে চিঠিপত্রে সর্বত্রই তার ঈশ্বরে পরিপূর্ন বিশ্বাস, প্রভুর পদপ্রান্তে তার ঐকান্তিক আত্মনিবেদন বারবার স্বপ্রকাশ। তাই তিনি তার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন তার সৃষ্ট যে সুর গুলো তিনি শুনতে পাননি তা একবারের জন্য হলেও ঈশ্বর তাকে শুনাবেন। তথ্য সংগৃহিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।