পছন্দ নির্জন বাস, বই পড়া, গান শুনা, আবৃত্তি করা । পেশা দিন মজুর।
হাসান বৈদ্য
লোক বিশ্বাস আছে চাতক পাখী বৃষ্টির পানি ছাড়া অন্য পানি পান করে না। এর কারণ :
এক রাখাল বালক প্রতি দিন মাঠে গরু চড়াতে নিয়ে যেত। তার মনিব মা তাকে প্রতি দিন বার বার করে বলে দিতেন দুপুরে নদী থেকে গরুকে পানি খাওয়াবি।
সন্ধ্যায় মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পর তাকে পানি খাওয়ানর কথা বললে সে বলতো হ্যাঁ পানি খাইয়েছি। মনিব দেখতেন গরুর পায়ে কাদা মাখান । কাদা দেখে তিনি ভাবতেন ঠিকই পানি খাওয়ান হয়েছে।
এই ভাবেই দিন কাটছিল। হঠাৎ এক দিন মাঠ থেকে ফেরার পর পানির কলস দেখে একটা গরু মাথা দিয়ে গুতা দিলে কাখ থেকে পড়ে কলস ভেঙ্গে পানি ছড়ায়ে পড়ে।
গরুটি মাটিতে গড়ানো পানি যত দূর সম্ভম চুষে খেল এবং মাটিতে পড়ে তৃষ্ণায় ছট ফট করতে করতে মারা গেল।
ঘটনা দেখে বাড়ির গৃহিনী রাখালকে বলল কিরে আজ পানি খাওয়াস নি?
-খাওয়াইছি ঐ দেখেন পা ভেজা।
গৃহিনীর সন্দেহ হলে জেরা শুরু করে দিলেন। জেরার মুখে রাখাল স্বীকার করল সে গরু ছেরে দিয়ে অন্যান্য রাখালদের সাথে খেলা করে । নদী দূর হওয়ায় সে পানি না খাওয়ায়ে বাড়ী ফেরার সময় ধুলার মধ্যে মুতে কাদা বানায়ে লাঠি দিয়ে গরুর পায়ে মাখায়ে দেয়।
গিন্নী মা ক্রুদ্ধ হয়ে রাখালকে বললেন, “তোকে অভিশাপ দিচ্ছি তুই পাখী হয়ে যা। আর বৃষ্টির পানি ছাড়া তুই অন্য পানি খেতে পারবি না”।
এই ভাবে অভিশাপ থেকে চাতক পাখীর জন্ম। আর এই জন্য চাতক বৃষ্টির পানি ছাড়া অন্য পানি পান করতে পারে না।
ভারত টিপাই মুখী বাঁধ দেওয়াতে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে ।
এই বাধেঁর বিরুদ্ধে দেশে জনমত তৈরী হচ্ছে। ভারত , পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানে বিভিন্ন নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে; সেচের জন্য ও জল-বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। এই রকম বাধেঁর সংখ্যা প্রায় ৫৫২টি এর মধ্যে শুধু গঙ্গার উপরেই ফারাক্কা সহ প্রায় ৩৫টি বাঁধ হচ্ছে।
আমাদের ভাতে পানিতে মারার ফাঁদ পাতা হয়েছে।
প্রতিবেশীদের বৈরী আচরণের ফলে আমাদের দেশ যেমন দ্রুত মরু করণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আবার আভ্যন্তরীণ ভাবে খামখেয়ালীপনা ও অসচেনতার কারণে আমাদের সব নদী , জলাশয় বর্জ দূষণের শিকার হচ্ছে।
কল কারখানর বর্জ যে ভাবে নদী- জলাশয়ে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে তাতে করে কম বেশী সব পানিই দুষিত হচ্ছে। খুব কম জলাশয়ই আছে যে তা কারখানার বর্জে দুষিত না । আবার সমুদ্রও জাহাজ বর্জের হুমকির সম্মুখীন।
অবিলম্বে আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবে আন্দল গড়ে তুলতে হবে বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে এবং জাতীয় ভাবে দুষণের বিরুদ্ধে। বেয়ারা রাখালের মত এদের শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে বা প্রতিহত করতে হবে।
তা না হলে উল্টা আমাদেরকেই এক ফোটা তৃষ্ণার পানির জন্য চাতকের মত উর্ধমুখি হয়ে, বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।