আল্লাহর সব সৃস্টিকে ভালোবাসতে চাই..
কোন কিছু বনাতে ঈশ্বরের সময় লাগে কয়েক মুহূর্ত। ঈশ্বর জদি বলেন হয়ে যাও, তো হয়ে গেলো। কিন্তু একটি জিনিস বানাতে দীর্ঘ সময় নিলেন ঈশ্বর। টানা ছয়দিন ধরে ঈশ্বর কে কাজ করতে দেখে একজন দেবদূত অবাক বিশ্ময়ে প্রশ্ন করলেন ঈশ্বর, একটি মাত্র জিনিস বানাতে আপনি এতো সময় নিচ্ছেন? জিনিসটা কি?
ঈশ্বর বল্লেন- আমি একজন মা বানাচ্ছি। একাই করতে হবে তাঁদের ১০ জনের কাজ।
শুধু মাত্র চা আর উচ্ছিস্ট খেয়েই বেঁচেথাকতে পারবেন তিনি। তিনি তিনটি শিশু একসঙ্গে থাকতে পারবে তাঁর কোলে এবং ছয় জোড়া হাত থাকবে তাঁর।
-তিন জোড়া চোখও থাকবে তার
-তিন জোড়া চোখ?
-হ্যা, তিন জোড়া চোখ। সন্তানরা যখন কাছে থাকবে তাঁর, তখন এক জোড়া চোখ দিয়ে তিন তাদের দেখে রাখবেন। সন্তানরা দূরে চলে গেলে দ্বিতীয় জোড়া চোখ দিয়ে তাদের দেখে তো রাখবেনই, সেই সাথে ওই দ্বিতীয় জোড়া চোখ দিয়ে তিনি অবলীলায় জেনে যাবেন তার সন্তান কী গোপন করছে কিংবা কি গোপন করতে চাইছে।
-আর তৃতীয় জোড়া চোখ দিয়ে কি করবেন তিনি?
-ওই তৃতীয় জোড়া চোখ দিয়ে সন্তানদের চোখের দিকে না তাকিয়েই এবং কোনো কথা না বলেই জানিয়ে দিতে পারবেন যে তিনি তাদির কতটা ভালোবাসেন।
-ছয়দিন ধরে আপনি একনাগাড়ে কাজ করছেন ঈশ্বর, আজ আপনার খানিকটা বিশ্রাম নেয়া দরকার, বললেন দেবদূত।
জবাবে ঈশ্বর জানালেন এখন তো বিশ্রামের প্রশ্নই ওঠে না। আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটি নির্মানের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। অসুস্থ হলে তিনি নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলবেন।
আর মাত্র এক পাউন্ড রুটি দিয়ে ছয়সদস্যের একটি পরিবারকে খাইয়ে দাইয়ে অনায়াসে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারবেন তিনি।
মহাবিস্মিত দেবদুত ঈশ্বরের অনুমতি সাচেক্ষে এবার স্পর্শ করলেন মা নামের বিস্ময়কর নারীকে হায় ঈশ্বর আপনি তাঁকে এতো নরম করে তৈরি করেছেন!?
তোমার কোন ধারনাই নেই এই নরম মা প্রয়োজনে কতোটা কঠিন হতে পারবেন। তুমি ভাবতেই পারবে না তাঁর পক্ষে কী কী অসম্ভব কর্ম সম্পাদন করা সম্ভব। ধৈর্য শক্তিতে তিনি হবেন তুলনাহিত আর ধারনক্ষমতায় সমুদ্রও হবে তাঁর তুলনায় অতিশয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র।
-চিন্তা শক্তি থাকবে তাঁর? চিন্তা করতে পারবেন তিনি?
-শুধু যে চিন্তা করতে পারবেন তিনি তা তো নয়, যুক্তি এবং পরামর্শ দেওয়ার ক্ষত্রে তিনি হবেন অনন্য।
ঈশ্বরের অনুমতি সাপেক্ষে দেবদূত আবার স্পর্শ করলেন মা নামের বিস্ময়কর নারীর কপোল- কিন্তু এখানটায় বিন্দু বিন্দু জল কেন ঈশ্বর?
ঈশ্বর বল্লেন- ওটা জল নয় অশ্রু।
-অশ্রু? অশ্রু দিয়ে কি হেবে?
মৃদু হেসে ইশ্বর বল্লেন এই অশ্রুই হচ্ছে তাঁর সমস্ত আনন্দ-বেদনা-দুঃখ-কষ্ট-হতাশা-গৌরব-ঘৃনা- মমতা-ভালবাসা আর একাকিত্ব প্রকাশের মাধ্যম।
এই হচ্ছে মা।
সূত্র: ইন্টারনেট অনুদিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।