আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুশীল সমাজ ও বসন্তের কোকিল

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

দেশের সুশীল সমাজ বলে খ্যাত বসন্তের কোকিলরা কোথায়? নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যা জাতীয় জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে অথচ এই সুশীলেরা নিঃশ্চুপ কেন? কেন তারা কোন কথা বলছেন না। একই সঙ্গে আমরা হতাশার সাথে লক্ষ্য করলাম, মানবাধিকার সংগঠন নামের কতগুলো ভূঁইফোর সংগঠন যারা সময়ে অসময়ে গলা ফাটিয়ে নানা তত্ব আবিস্কারে মত্ত থাকে তাদেরকেও এসব প্রসঙ্গে টু শব্দটি করতে দেখা গেল না। পিলখানার ঘটনা নিয়ে সারা দেশের মানুষ যখন আতংকে ভয়ে দিশেহারা তখন তাদের মধ্যে পিনপতন নিরবতা। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরকে দায়ি করে নানা বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন তখন আমাদের উপরোক্ত সুশীল সমাজ (সু= ভাল, শীল = নাপিত),সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক), বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন কেউই কোন কথা বলল না। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থেকে নিজেদের নিরাপদ দুরত্বে রেখেছেন॥ আমার জানা মতে শুধু মাত্র লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস্ ওয়াচ এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এদের সাথে দেশে প্রিন্টমিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দারুন খেল দেখালো। ২৫ তারিখ দেশের মানুষের মনোযোগ বিডিআরের প্রতি সহানুভুতিশীল হলো। ঘটনা পাল্টে গেল পরের দিন যখন মিডিয়ায় কল্যাণে আমরা জানতে পারলাম পিলখানার ভিতরে লাশ আর লাশ। সেগুলো কি শুধু সেনা কর্মকর্তাদেরই লাশ? ভাগ্যাহত বিডিআর সদস্য যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত নন তাদের কোন রিপোর্টই আর জন সম্মুখে এলো না এখন পর্যন্ত। ঘটনা কি! ঘটনা কিছুই না।

বিড়িআর জওয়ানরা তো গরীবের সন্তান। তারা কত জন মারা গেল, কতজন পালিয়ে গেল তার সঠিক হিসাব কেউ এখন পর্যন্ত দিতে পারল না। তদন্তের আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্বে যেমন দোষী বলা যায় না তেমনি সকল জওয়ানও এই নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িত নন। সীমান্ত পাহারায় তাদের অবদানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ঘটনা পরবর্তী ১৬ জন জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কোন মানবাধিকার সংগঠন ও বুদ্ধিজীবিদের কোন বিবৃতি দিতে দেখা গেল না।

সুবিচার পাওয়া প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার। দোষী হওয়ার পরে শাস্তি প্রদান করতে হবে। তাদের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রামে থাকা গরীব জওয়ানদের পরিবার পরিজন উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে। সরকার বা বিডিআরের পক্ষ থেকে কোন সংবাদ তাদের দেয়া হচ্ছে না। একজন দলীয় লোককে বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তাতে বিচারে স্বচ্ছতা আর নিরপেক্ষতা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় সন্দেহ থেকে যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.