শিশুতোষ যে কোন রচনা।
সুনাতা: বাপু দেখো আমি গোল (সার্কেল) একেছি।
বাপু: এটাতো সার্কেল হয়নি সোনা। যা আরেকটা এঁকে আন।
সুনাতা: এই দেখো বাপু, আরেকটা গোল একেছি।
বাপু: এটাও হয়ি তো, একদম হয়নি এটা...
এইভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিদিন একটি করে লিওনার্দো, আইনষ্টাইন, কুতরত-ই-খুদা, ড. শহীদুল্লাহ, আরো অনেকে অংকুরেই নষ্ট হয়ে যায় বা বাঁধাপ্রাপ্ত হয় বেড়ে উঠায়।
অথচ এতক্ষন ঐ বাপু তার মেয়েকে শুধু বিভ্রান্তই করল। কিভাবে? সুনাতাতো সত্যিই সার্কেল এঁকেছিল কিন্তু তারপরও ওর বাবা বারে বারে সুনাতাকে বলল সার্কেল হয়নি, একদম হয়নি। আর তাই সুনাতা বুঝতেই পারছিল না সার্কেল কেমন করে হয়। সে হিসাব মেলাতে পারছিল না।
আমরা যারা বড়, তাদেরকে আগে শিখতে হবে ছোটরা কিভাবে একটি বিষয়কে দেখে। এবং তখন আমাদেরকে তাদের দেখার মতো করে কথা বলতে হবে। আমি সার্কেলের উদাহরন দেই আবার। বড়দের মতে সার্কেল হয় অনেক শর্ত ঘটলে। যেমন: চুড়ি, চাকা ইত্যাদি কিন্তু একটি শিশু প্রথমদিকে কিভাবে সার্কেল চিনে জানেন কি? আপনি যতোবার আপনার বাচ্চাকে কোলে বসিয়ে সার্কেল আঁকিয়েছেন (আপনি ভেবেছেন শিশুটি বুঝতে পেরেছে সার্কেল আসলে কি?) সে শিখেছে সার্কেল মানে যেখান থেকে আঁকা শুরু করতে হয় আবার সেখানেই পেন্সিল এনে আঁকা শেষ করতে হয়।
আর তাই অনেক শিশু প্রথমদিকে সার্কেল আঁকে এমনভাবে যেন প্রথম আর শেষ এক জায়গায় থাকে (প্রকৃত সার্কেল হবার সংগা তাদের কাছে সেটাই)।
আর তাই কোন শিশুকে বলবেন না তার কাজটি হয়নি। বরং বলুন এমন করে:
সুনাতা: বাপু দেখো আমি গোল (সার্কেল) একেছি।
বাপু: সুন্দর সার্কেল হয়েছে! আয়, তোকে আরো সুন্দর করে আঁকা শেখাই।
সুনাতা: এই দেখো বাপু, এবার কি সার্কেল হয়েছে?
বাপু: আগের থেকে সুন্দর হয়েছে! আরো চেষ্টা করলে আরো সুন্দর হবে!
(এইভাবে চলবে কথাবার্তা)
আমি যদিও মাত্র সার্কেল দিয়ে উদাহরন দিলাম।
আপনারা আপনার বাচ্চার বয়স অনুযায়ী তার সাথে পজিটিভ আচরন করুন ও কথাবার্তা বলুন। শিশুদের জন্য কিছু করতে হলে আগে শিশুকে চিনুন।
শিশুর সাথে কখনই এই কাজটি করবেন না...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।